এইচআইভি আক্রান্তদের বীর্য সংরক্ষণ করছে নিউজিল্যান্ড
সারা বিশ্বে এক আতঙ্কের নাম এইচআইভি ভাইরাস। সারা বিশ্বে প্রতিবছর হওয়া বিভিন্ন রোগের একটি বড় অংশের পেছনেই কারণ হিসেবে রয়েছে এই ভাইরাস। এইচআইভি-১ ভাইরাসের এই সংক্রমণ থেকে মানুষকে রক্ষায় কিছুটা আশার আলো দেখা গেলেও এখনও পুরোপুরি সফল হননি বিজ্ঞানীরা।
এ রোগ নিয়ে, রোগে আক্রান্তদের নিয়ে ভয় আছে বিশ্বের সবখানেই। সামাজিক সেই ভীতি দূর করতেই অভূতপূর্ব এক পথ বেছে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এইচআইভি ভাইরাস বহন করছে এমন মানুষদের জন্য দেশটি তৈরি করেছে স্পার্ম বা বীর্য ব্যাংক। এ ধরনের ঘটনা বিশ্বে এটিই প্রথম।
চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত তিনজন এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি স্পার্ম ব্যাংকে বীর্য দান করেছেন। তাদের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধারাবাহিকভাবেই ‘অসনাক্তযোগ্য পর্যায়ে’ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অর্থ হচ্ছে, নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করছেন এমন একজন এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে শরীরে থাকা ভাইরাস অন্য কারো মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব নয়।
সংক্রামকব্যাধি বিশেষজ্ঞ এবং অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্ক টমাস এ বিষয়ে বলেন, এই এইচআইভি পজেটিভ স্পার্ম ব্যাংক পুরোপুরি নিরাপদ। যখন একজন আক্রান্ত ব্যক্তি নিয়মিত কার্যকর চিকিৎসা গ্রহণ করেন, তখন তার রক্তে এইচআইভি ভাইরাসের পরিমাণ প্রায় সবসময়ই অসনাক্তকর পর্যায়ে নেমে যায়। আর এই পরিস্থিতিতে সেই ব্যক্তির পক্ষে অরক্ষিত যৌনমিলন বা সন্তান জন্মদানের মাধ্যমে এই ভাইরাস অন্যের শরীরে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হয় না।
তবে, চিকিৎসকরা যা-ই বলুন না কেন এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিরা এখনেও প্রকাশ্যে তাদের রোগ নিয়ে কথা বলতে সংকোচবোধ করেন। ফলে এইচআইভি পজেটিভ স্পার্ম ব্যাংকের জন্য পর্যাপ্ত বীর্যদাতা পাওয়া গেলেও তাদের কেউই প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী নন।