বাস্তবেও নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, পাশে শিল্পীরা
ইলিয়াস কাঞ্চন। বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক। ১৯৯৩ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় এলোমেলো হয়ে যায় তার জীবন। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রঙিন দুনিয়া থেকে দূরে সরে যাবেন। পর্দার প্রতিবাদী নায়ক বাস্তব জীবনেও হয়ে উঠেন প্রতিবাদী। দাঁড়িয়ে পড়েন রাস্তায়।
‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নামের সংগঠন গড়ে তুলেন। শুরু করেন আন্দোলন। দীর্ঘ ২৫ বছরের আন্দোলনে নানা প্রতিকূলতা, চাপ, হুমকি কোনো কিছুর পরোয়া করেননি এ চিত্রনায়ক। এখনো লক্ষ্য অর্জন না হলেও কিছু প্রাপ্তি দেখছেন। তবে হতাশ হতে রাজি নন তিনি। পর্দার নায়ক বাস্তব জীবনেও হয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাওয়া জনগণের নায়ক।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন শ্রমিকরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অবমাননা করেছে ইলিয়াস কাঞ্চনকে। শ্রমিকদের ঘৃণ্য এই কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের সচেতন মানুষ। পাশাপাশি শিল্পীদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের পাশে শিল্পীরা আছি। শিল্পীরা সবসময় শিল্পীর দুর্দিনে ছিল, থাকবে। যারা নোংরামি করছেন তারা দেশের ও সমাজের শত্রু। শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই। কাঞ্চন ভাই দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে সচেতন করে আসছেন, এটা আমাদের গর্বের বিষয়।
চিত্রনায়ক রুবেল বলেন, নিরাপদ সড়ক সবার দাবি। নিরাপদ সড়কের দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছেন ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব। তাকে নিয়ে যেসব মানুষ এই ধরনের পোস্টার তৈরি করেছেন তারা নোংরা মনের পরিচয় দিয়েছেন। আমি এই ঘটনার প্রতিবাদের পাশাপাশি তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন চিত্রনায়ক ইমন। তিনি বলেন, কাঞ্চন ভাইকে নিয়ে যারা কটূক্তি করছেন আমি আমার জায়গা থেকে তাদের ধিক্কার জানাই। নিরাপদ সড়ক প্রত্যেকটা মানুষের অধিকার। আমি ফেসবুকে দেখেছি কাঞ্চন ভাইকে নিয়ে বাজে ছবি পোস্ট করা হচ্ছে। আমি মনে করি কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে আমাদেরও একাত্মতা প্রকাশ করা উচিত।
যারা ভুল বোঝাচ্ছেন তাদের শনাক্ত করা উচিত বলে মনে করেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। তার ভাষায়, নিরাপদ সড়কের আইন সংশোধন করার কথা বলছেন। কেন আইন সংশোধন করতে হবে। আমরা নিজেরা সংশোধন হলেই হয়। আমরা আইন অমান্য করবো না। তাহলেই সংশোধন করার দরকার নেই বলে মনে করছি। সারা দেশের মানুষ তাকে সমর্থন দিচ্ছেন, দেবেন। কারণ আমরা সবাই নিরাপদ সড়ক চাই। এটার বিরোধ করার কোনো কারণ নেই।