ইউটিউবের নীতিমালায় পরিবর্তন, বন্ধ হবে অনেক চ্যানেল
কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য নতুন নীতিমালা করেছে ইউটিউব। এতে বলা হয়েছে, কনটেন্ট যদি অর্থ আয়ের উপযোগী না হয়, তবে পুরো চ্যানেল বন্ধ করে দিতে পারে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। তবে এই নীতির ফলে ভুঁইফোড় চ্যানেল যেমন বন্ধ হবে তেমনি অনেক ভালো চ্যানেলও বন্ধের খড়কে পড়তে পারে। যদিও নতুন এই নীতিমালাটি কার্যকর হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে।
‘অ্যাকাউন্ট সাসপেনশন অ্যান্ড টার্মিনেশন’ বিভাগে নতুন শর্ত যুক্ত করে ইউটিউব বলেছে, চ্যানেলের কনটেন্ট বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক মনে না হলে ইউটিউব বা গুগল অ্যাকাউন্টের অংশ বিশেষ বা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারবে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহ থেকে নতুন নীতিমালা বিষয়ে নোটিফিকেশন দেখাতে শুরু করে। ইউটিউব তাদের নতুন নীতিমালা ও স্বচ্ছ ও সহজবোধ্য করেছে বলে একটি মেইলও পাঠিয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউটিউবের নতুন নীতিমালার অর্থ হচ্ছে, ব্যবহারকারীর কনটেন্ট থেকে যদি তারা অর্থ আয় করতে পারে, তবে কনটেন্ট নির্মাতাকে তারা গুরুত্ব দেবে, তা না হলে চ্যানেল বন্ধ করে দেবে।
নতুন নীতিমালার বিষয়টি অবগত হয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলে বলেছে, অ্যাকাউন্ট বন্ধের শর্তটি ইউটিউবার ও ব্যবহারকারীদের কাছে স্পষ্ট নয়। শুধু কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নাকি সব ইউটিউব অ্যাকাউন্টধারীদের জন্যও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে, সে সম্পর্কে তারা এখনো অন্ধকারে।
যদিও ইউটিউবের নীতিমালায় পরিবর্তন এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ঘটেছিল। ২০১৮ সালে মনিটাইজেশন নীতিমালায় পরিবর্তন আনে ইউটিউব। সেবার ইউটিউব থেকে অর্থ আয়ের জন্য কঠোর নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এতে অনেক কনটেন্ট নির্মাতার অর্থ আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এবার সেই আশঙ্কায় রয়েছে কনটেন্ট নির্মাতারা।
সোশ্যাল মিডিয়ার অনেকের বক্তব্য হচ্ছে, ইউটিউব কর্তৃপক্ষ অর্থের দিকটি বেশি বিবেচনায় নিয়েছে, তবে মানের ওপর গুরুত্ব দিলে বেশি ভালো হতো। তাতে সমাজ বেশি উপকৃত হতো এবং এই মাধ্যমটি বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারতো।