হিটলারের জন্ম নেয়া বাড়িতে এখন বসবে পুলিশ
নিন্দিত শাসক ও জার্মানির নাৎসি পার্টির নেতা অ্যাডলফ হিটলার জন্মেছিলেন অস্ট্রিয়ার ব্রনো ইন শহরে। তিনি যে ভবনে জন্মেছিলেন, সেটি পুলিশ স্টেশন হিসেবে ব্যবহৃত হতে যাচ্ছে। সপ্তদশ শতাব্দীর পুরোনো ওই ভবনটির একটি ফ্ল্যাটে জন্মের পর কয়েক সপ্তাহ ছিলেন হিটলার।
ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এ নিয়ে বেশ বিপাকেই ছিল অস্ট্রিয়া সরকার। ভবনটি দেখতে কট্টরপন্থী হিটলার সমর্থক পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। এই পর্যটকদের ঠেকাতে কয়েক দশক ধরে ভবনের মালিকের কাছ থেকে ভবনটি ভাড়া নিয়ে রেখেছে অস্ট্রিয়া।
গতকাল মঙ্গলবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওল্ফগ্যাং পেশরন বলেছেন, এই ভবনটি নাৎসিবাদের কোনো স্মৃতি বহন করছে, এমনটা ভাবা চরম ভুল। তিনি বলেন, এই ভবন কখনোই সমাজতান্ত্রিক জাতীয়বাদের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেয়া হবে না।
একসময় এখানে প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি দিবাযত্ন কেন্দ্র ছিল। পরে ভবনের মালিক সেটি বন্ধ করে দেন। সর্বশেষ শরণার্থীদের জন্য একটি থাকার জায়গা করতে চাইলে ভবনের মালিক তাতেও অস্বীকৃতি জানান। এবার সেখানে থানা বা পুলিশ স্টেশন করার কথা জানাল অস্ট্রিয়া সরকার।
বাধ্যতামূলক ক্রয়াদেশে ২০১৬ সালে আট লাখ ১০ হাজার ইউরোতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় সাত কোটি ৬০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা) বাড়িটি কিনে নিয়েছে অস্ট্রিয়া সরকার।
১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল ব্রনো ইন শহরের বাড়িটিতে জন্ম নেন হিটলার। চাকরিসূত্রে ওই শহরে ছিলেন হিটলারের বাবা। হিটলার জন্ম নেয়ার কয়েক সপ্তাহ পরই ওই বাড়িটি ছেড়ে শহরের অন্যত্র চলে যান তার বাবা। তবে সেসব বাড়িঘরের অস্তিত্ব নেই। তিন বছর পর ওই শহরই ছেড়ে দেয় হিটলারের পরিবার। এর চার দশকেরও বেশি সময় পর ১৯৩৮ সালে জার্মানির ক্ষমতায় বসে ভিয়েনাকে যখন জার্মানির সঙ্গে একীভূত করে নেন, তখন জন্মভূমিতে যান হিটলার।
১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত নিজের শাসনকালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করেন হিটলার। এতে ৬০ লাখ ইহুদি এবং এক কোটিরও বেশি যোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
সূত্র: বিবিসি