লম্বা লাইনে উচ্চ মূল্যে লবণ ক্রয় করায় বাজারের লবণ ফুরাতে বসেছে
লবণের মূল্য দেশ ব্যাপী বৃদ্ধি পেয়েছে এমন গুজবে আশাশুনির সকল হাটবাজারে লবণ ক্রয়ের হিড়িক পড়েছে। গ্রাম থেকে মানুষ লবণ কিনতে বাজারে ছুটে চলেছে। আশাশুনি সকল ইউনিয়নে অসংখ্য হাটবাজার রয়েছে। এসব বাজারে হাজার হাজার মন লবণ মওজুদ থাকে। মঙ্গলবার বিকালে গুজব ছড়িয়ে পড়ে লবণের মূল্য ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছে। খুলনা, ঢাকা, চট্রগামে লবণ দু’শত টাকা কেজি দরে লবণ বিক্রয় হচ্ছে।
এমন খবর মোবাইলে মোবাইলে উপজেলার সকল এলাকায় পৌঁছে যায়। সন্ধ্যার আগেই হুজুগে পড়ে মানুষ বাজার মুখো ছুটতে শুরু করে। ব্যবসায়ীদের কানেও খবর পৌছতে সময় লাগেনি। ফলে ব্যবসায়ীরা ৮ টাকা কেজি দরের লবণ ২৫/৩০ টাকা, এবং চিকন লবণ ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে দাম হাঁকিয়ে বসেন। মানুষ কোন রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব না করে ২ কেজি থেকে শুরু করে ১৫/২০ কেজি করে লবণ কিনতে থাকে।
যারা বাজার করতে এসেছিলেন তারা বাজারের অন্য মালামাল না কিনে লবণ কিনে থলে ভর্তি করে বাড়ি ফিরেন। লবণ কিনতে গিয়ে কে আগে নেবে এ নিয়ে হাতাহাতিও হতে দেখা গেছে। বুধহাটা বাজারের সকল ব্যবসায়ী, কাদাকাটি, তেতুলিয়াসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে উচ্চমূল্যে লবণ কিনতে লম্বা লাইন পড়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আরিফ রেজা এবং পুলিশ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে মানুষকে গুজুবে কান না দিতে আহবান জানান।
ততক্ষণে শত শত মন লবণ উচ্চমূল্যে কিনে বাড়িতে নিয়েছে মানুষ। কারো কাছে ১ কেজির বেশি লবণ বিক্রয় না করতে ব্যবসায়ীদেরকে হুশিয়ারী করে দিয়েছেন ইউএনও। সাথে সাথে কেউ উচ্চ মূল্যে লবণ বিক্রয় বা ক্রয় করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি এবং পুলিশ প্রশাসন সতর্ক করে দিয়েছেন।