ক্যানসার চিকিৎসায় যেসব খাবার নিষিদ্ধ
ক্যানসার চিকিত্সায় বড়ো অগ্রগতির খবর দিয়েছেন গবেষকেরা। ক্যানসার চিকিত্সার সময় খাবারের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। রসুন, আদা ও জিনসেং চামড়ার ক্ষত শুকাতে বিলম্ব ঘটায়। রসুন, জিনসেং এবং হলুদের মতো কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো রক্তের জমাট হতে বিলম্ব ঘটায়। মালটা কিংবা কমলালেবুজাতীয় ফল ক্যানসার ওষুধের কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত করে। সম্প্রতি ক্যানসারবিষয়ক এক কনফারেন্সে এ ধরনের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক কার্দোসা বলেন, যেসব ক্যানসার চামড়ায় ছড়িয়ে পড়ে থাকে সে ধরনের ক্যানসারের ক্ষেত্রে রোগীদের তাদের খাবারের বিষয়গুলো চিকিত্সকদের জানানো দরকার। চিকিত্সকদের উচিত নিজে থেকে উদ্যোগী হয়ে রোগীদের জিগ্যেস করা উচিত—ক্যানসারের চিকিত্সার সময় তারা অন্য কিছু খাচ্ছে কি না?
তিনি বলেন, ক্যানসার চিকিত্সার জন্য রোগীরা যদি কোনো বাড়তি থেরাপি গ্রহণ করেন তাহলে বিষয়টি তাদের চিকিত্সককে জানানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন অনেক পণ্য আছে যেগুলোর কারণে ক্যানসার চিকিত্সায় ব্যবহূত হরমোন থেরাপি এবং কেমোথেরাপির ওপর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া আরো কিছু পণ্য আছে যেগুলো রক্ত জমাট করতে দেরি করে। মিস কার্দোসা বলেন, কিছু ভেষজ আছে যেগুলোর কারণে রক্ত জমাট হতে দেরি হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে—রসুন, জিনসেং এবং হলুদ।
তিনি বলেন, ক্যানসার চিকিত্সায় ওষুধের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষতি রোধ করা। ব্রিটেনের ক্যানসার রিসার্চ বলছে, কিছু প্রথাগত ওষুধের বাইরে কিছু পদ্ধতির কারণে মূল চিকিত্সা ব্যাহত হতে পারে। এছাড়া কামরাঙ্গা, বাঁধাকপি এবং হলুদও এ তালিকায় রেখেছে ব্রিটেনের ক্যানসার রিসার্চ। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রথাগত চিকিত্সার বাইরে যে কোনো ধরনের ওষুধ খাবার আগে আপনার চিকিত্সকের সঙ্গে কথা বলুন। বিশেষ করে আপনি যদি ক্যানসার চিকিত্সার মাঝামাঝিতে অবস্থান করেন।