বেনাপোল পোষ্ট অফিসে সঞ্চয় পত্রের মুনাফা ভোগীরা হয়রানীর শিকার হচ্ছে প্রতিদিন
বেনাপোল পোষ্ট অফিসে সঞ্চয় পত্রের মুনাফা ভোগীরা প্রতিদিন হয়রানীর শিকার হচ্ছে। দুর-দূরান্ত থেকে আসা বয়স্করা পড়ছে বিপাকে। পোষ্ট অফিস কর্তৃপক্ষ তাদের মুনাফার টাকা না দিয়ে দিনের পর দিন বসিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে। তারা বলছে ক্যাশে টাকা নেই। যশোর পোষ্ট অফিস থেকে টাকা আসলে টাকা দেয়া হবে। কিন্তু যশোর পোষ্ট অফিস থেকে সঠিক সময়ে টাকা না আসার কারণে তাদের এই ভোগান্তি। অনেক সঞ্চয় পত্রের মালিক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের এ সঞ্চয় পত্রের মুনাফার টাকার উপর সংসার চলে।
চলে বাচ্চাদের লেখা-পড়াসহ সংসারের সমস্ত ব্যয়। কিন্তু তারা মুনাফার টাকা নিতে এসে নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে। মুনাফা দেয়ার তারিখ শেষ হলেও পোষ্ট অফিস কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাত দেখাচ্ছে। মুকুল হোসেন নামে একজন সঞ্চয় পত্রের মালিক জানান আজ তিন দিন ধরে আসছি এবং ফিরে যাচ্ছি কিন্তু মুনাফার টাকা দিচ্ছে না। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চল থেকে আসা বয়স্করা পড়ছে বিপাকে তাছাড়া যাদের সাথে বাচ্চা আছে তাদের ও ভোগান্তির শেষ নেই।
বেনাপোল পোষ্ট অফিসের পোষ্ট মাস্টার শেখ জুলফিকার আলী জানান এ পোষ্ট অফিসে পেনশন সঞ্চয় পত্র আছে ১০৬ জনের, ৩ মাস অন্তর মুনাফা ভোগীদের সংখ্যা ২হাজার ৫শত ৬২ জন, পরিবার সঞ্চয় পত্র আছে ১ হাজার ২শত ৬০ জনের এবং বাংলাদেশ সঞ্চয় পত্র আছে ১ হাজার ১শত ৭৭ জনের। যার প্রতিদিন মুনাফা দিতে হয় ১০ লাখ টাকা। কিন্তু আমার এ অফিসে মুনাফা দেয়ার ক্ষমতা আছে ২ লাখ টাকা। বিধায় প্রতিদিন যশোর পোষ্ট অফিসের প্রধান কার্যালয় থেকে টাকা নিয়ে এসে এসব মুনাফা দিতে হয়। এ জন্য সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া যশোরে টাকা চাইলেই তারা টাকা পাঠায় না । সময় লেগে যায় টাকা আসতে।
এ সময় কয়েকজন উপস্থিত সঞ্চয়পত্রের মুনাফা নিতে আসা মালিক জানান আমাদের সঞ্চয় পত্রের মেয়াদ এবার শেষ হলে আমরা আর পোষ্ট অফিসে টাকা রাখবো না। অন্য পথ খুঁজবো। এ ব্যাপারে সচেতন মহল পোষ্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।