বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। সারাদেশেও একই অবস্থা।
গতকাল কারওয়ান বাজারে পাইকারীতে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১ হাজার ২০০ টাকা দরে। সে হিসেবে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম দাঁড়ায় ২৪০ টাকা। খুচরাবাজারে এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ২৬০ টাকায়।
এছাড়া দেশি কিং ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজি প্রতি ২৪০ টাকা। আমদানি করা চীন, মিসর ও তুরস্কের পেঁয়াজের দাম ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা।
বিশ্ববাজারের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশে।
আন্তর্জাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস ট্রিজর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের গড় পাইকারি মূল্য ৬৮ সেন্ট যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৮ টাকা। অথচ বাংলাদেশে এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা। এছাড়া পাশের দেশ ভারতে পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৬২ সেন্ট, চীনে ২৮ সেন্ট, পাকিস্তানে ৩৯ সেন্ট, ও মিশরে ১৭ সেন্ট কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, একশ্রেণীর ব্যবসায়ী কারসাজি করে এখন পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে। কারণ, মিশর, মিয়ানমার, তুরস্ক ও চীন থেকে যে দামে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে তাতে দেশের বাজারে কোনোভাবেই পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।
নিয়ন্ত্রণহীন পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গতকাল শুক্রবার উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে উড়োজাহাজে করে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। কারণ, সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানিতে বেশি সময় লাগে। এ কারণে আকাশপথে আমদানির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি নিশ্চিত করেন, উড়োজাহাজে আসা পেঁয়াজ আগামী সোমবার দেশে আসবে।