প্রধানমন্ত্রীর দুবাই সফরে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুবাই সফরকালে বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী ১৬ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকালে দুটি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি একটি প্রটোকল স্বাক্ষর হওয়ার কথা। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী আবুধাবিতে অনাবাসিক বাংলাদেশিদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রমও উদ্বোধন করবেন। খবর-বাসস’র।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে ‘দুবাই এয়ার শো -২০১৮’ এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী দুবাই যাচ্ছেন। এছাড়াও শেখ হাসিনা আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পরিবার উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সুপ্রিম চেয়ারপারসন শেখ ফাতিমা বিনতে মোবারকের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
দু’দেশের মধ্যে যে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে সেগুলো হলো- বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং আমিরাত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এবং আমিরাত অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মধ্যে চুক্তি এবং আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের জন্য প্লট বরাদ্দের প্রোটোকল।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে অনাবাসিক বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এই নিবন্ধন কার্যক্রমের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, দেশে এসে তাদের জন্য নিবন্ধন করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার। যা ব্যয় ও সময় সাপেক্ষ হওয়ায় নিবন্ধনের জন্য তাদের বাংলাদেশে আসা কঠিন।
সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাতের বড় বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এরইমধ্যে বাংলাদেশে সমুদ্র বন্দর ও সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়নে আগ্রহ দেখিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, আমিরাত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাত এবং উপসাগরীয় দেশগুলোতে হালাল পণ্য রফতানি করার জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি কেন্দ্র তৈরিতে বিনিয়োগ করতে চায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আশা করা যায় এ সফরটি বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের উপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সহায়তা করবে।