ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে নেই এনজিওগুলো
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে গোটা মোরেলগঞ্জ উপজেলা। দুর্যোগ পরবর্তী করনিয় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে নেই বেসরকারি সংস্থা এনজিওগুলোর। তাদের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা দেখে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের।
এ উপজেলায় বুলবুলের তাণ্ডবে ১০ হাজারেরও বেশি কাচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে কাচা পাকা রাস্তা ঘাট, লক্ষাধিক গাছপালা লণ্ডভণ্ড হয়ে উপরে গেছে। ২৬ হাজার ২৭৫ হেক্টর আমন ফসলের জমিসহ সবজি ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষক। ২ হাজার দু’ই শ’ মৎস্য ঘের ভেসে গেছে। প্রতিটি সেক্টরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ। এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে সরকারিভাবে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সহায়তা পেলেও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে নেই বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ডভিশন, জেজেএস, সিসি ডিবি, বিডিপিসিসহ বিভিন্ন এনজিও।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এ উপজেলার দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনার কার্যক্রমের ওপর বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এসব এনজিও। অথচ গত শনিবার প্রলঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নসহ পৌর সদরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটে। দুর্যোগ পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও সাধারণ মানুষের পাসে এ মুহূর্তে এনজিওগুলোর নিশক্রিয় ভূমিকার কারনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে, জনপ্রতিনিধি, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বরসহ সুশীল সমাজে একটাই প্রশ্ন মানবিক সহায়তায় এনজিওগুলোর কি কোন কিছু করণীয় নেই। এ সম্পর্কে ওয়ার্ল্ডভিশন ম্যানেজার লাভলী লাকি বিশ্বাস বলেন, দুর্যোগের পূর্ব মুহূর্তে উপজেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুমে তাদের ৮জন সদস্য সার্বক্ষণিক তাদের সহযোগিতা করেছেন। তবে অর্থনৈতিক কোন সাপোট তারা দেননি।
যতক্ষণ পর্যন্ত দুর্যোগ এরিয়া ঘোষণা না হবে। তাদের পক্ষ থেকে কোন প্রকারে সহযোগিতা ক্ষতিগ্রস্তদের করতে পারবে না। ইতোমধ্যে এ উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির নিরুপণ করে একটি তালিকা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুর্যোগের ওপর যে সকল এনজিও মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন বুলবুলে আঘাত পরবর্তীতে এ উপজেলায় তাদের নিশক্রিয় ভূমিকা নিয়ে তিনিও হতভাগ। তবে সরকারিভাবে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক মহদয় তিনি নিজে উপস্থিত থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আশ্রয়ণে শুকনা খাবার পরবর্তীতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।