ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেছেন, উপকূলবর্তী এলাকায় টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণে সরকার ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ কাজে অর্থসহ কোন কিছুরই সীমাবদ্ধতা নেই। যেটা প্রয়োজন সেটা করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে তিনি ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।
প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরীর ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ত্রাণ নিয়ে যেন কোন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ না ওঠে। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
এ সময় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বিভাগীয় কমিশনার এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কথা শোনেন।
পরে তিনি বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী এলাকার ১০০ জনের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে তার সাথে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার বিকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে এক পর্যালোচনা সভায় মিলিত হন।
সভায় স্ব স্ব দপ্তরের কর্মকর্তারা কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান তুলে ধরেন।
এ সময় বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আগামী বছর স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী পালিত হবে। এর আগেই আমরা প্রশাসনের শতভাগ সততা ও চারিত্রিকভাবে দৃঢ় অফিসার নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও ত্রাণ বিতরণে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক হুসাইন শওকত, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দিনসহ জেলা প্রশাসন ও জেলার সব সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।