প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষ
মহান আল্লাহর রহমতে সাতক্ষীরাবাসী প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র ভয়াবহ আগ্রাসী ছোবল থেকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা সদর -০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
এমপি রবি বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র ভয়াবহ আগ্রাসী ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের আমি কোন কষ্ট পেতে দেবনা। আমি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সদস্য হওয়ায় মিটিং এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে বরাদ্ধ আনার ব্যবস্থা করবো এবং যাতে আমার সাতক্ষীরার ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র থেকে নিজ বাড়িতে ফিরতে পারে দ্রুত সে ব্যবস্থা করা হবে।
সাতক্ষীরা সদরের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ০৯টি ওয়ার্ডে হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষ থেকে দলীয় নেতৃবৃন্দ, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইয়ারুল হকসহ ১৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বর ও সাতক্ষীরা পৌর মেয়র ও কাউন্সিলররা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ পরবর্তী রবিবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
সাতক্ষীরা সদরে ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ অতি-দরিদ্র। তাদের মাটির ঘর। প্রতিবছর বর্য়া মৌসুম ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিবছর বাড়িতে পানি উঠে ধ্বসে বিধ্বস্ত হয়। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে সাহার্য্য সহযোগিতা নিয়ে ঘরে বসবাস করে। আবার তারা বর্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জমি আছে ঘর নেই সরকারি প্রকল্পের আওতায় আনার দাবী জানাবেন এমপি রবি। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র ভয়াবহ আগ্রাসী ছোবলে সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর, ব্রহ্মরাজপুর, ফিংড়ি, ভোমরা ও আলিপুর ইউনিয়নের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বেতনা নদী ভরাট হওয়ায় বেতনা নদীর পানি প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে প্লাবিত হয়ে অসংখ্য বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে। এক সপ্তাহের আগে এ পানি নামবেনা। যে কারণে মাটির ঘর-বাড়ি সব পড়ে যাবে। এছাড়াও বৈকারী ইউনিয়ন, লাবসা ইউনিয়ন, কুশখালী, শিবপুর, ঝাউডাঙ্গা, আগরদাঁড়ি, বাঁশদহা, বল্লী ইউনিয়ন, ঘোনা ইউনিয়নের অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। হাজার হাজার ঘর বাড়ি বিধ্বস্থ, উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং পানিতে তলিয়ে গেছে অসংখ্য মৎস্য ঘের।