সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে ‘বুলবুল’
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (এনডিআরসিসি) রাত ১১টার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের কাছ দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে।
শুক্রবার রাত ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. নাজমুল হোসাইন বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল শনিবার সন্ধ্যায় উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এর প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত অব্যাহত রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের থেকে বৃদ্ধি পেতে পারে।
নড়াইলের বেসরকারি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. পারভেজ আহমেদ পলাশ বলেন, বুলবুল খুলনা অতিক্রম করার সময় খুলনা শহরে ঘণ্টায় ১২০ কি.মি. বেগে ঝড়ো হাওয়া এবং ১৪০ কি.মি. বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি মোংলা, বাগেরহাট, পিরোজপুরে ১৩০-১৫০, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কি.মি. বেগে দমকা হওয়াসহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল সুন্দরবনে তাণ্ডব চালিয়ে মোংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর অতিক্রম করতে পারে। শনিবার রাত ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বুলবুল তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
এনডিআরসিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ও মুন ফেজ এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।