শনিবার আঘাত হানতে পারে ‘বুলবুল’, ৪ নম্বর সতর্কতা
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ প্রবল শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে। এর শক্তি ক্রমাগত বাড়ছে। আগামীকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল কিংবা দুপুরের দিকে বাংলাদেশে আঘাত আনতে পারে ‘বুলবুল’।
ঘূর্ণিঝড়ের ক্রমাগত শক্তি বাড়তে থাকায় সতর্কতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে আবহাওয়ার ১৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘আগামীকাল শনিবার সকাল কিংবা দুপুরের দিকে ঘুর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে। প্রতিনিয়ত এর গতি বাড়ছে, আর এটার গতি বাড়তেই থাকবে।’
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার সকালে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনসার মোল্লা জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলো তীরে ভিড়ছে। এছাড়া সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. রাহাত হোসেন জানান, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।