দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তাদের অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। অন্যথায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সৃষ্ট অশান্ত পরিস্থিতির পটভূমিতে বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা প্রায়ই দুর্নীতির অভিযোগে ভাইস চ্যান্সেলরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, তাদেরকে অবশ্যই অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। যদি তারা প্রমাণ করতে পারে তবে, উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যথায়, অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো রকম আইনগত ভিত্তি ছাড়া আন্দোলনের নামে ক্লাস বন্ধ, ভিসিদের বাসভবন ও কার্যালয়ে হামলা বরদাশত করা হবে না।
এ সময় বুয়েটের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থীরা একজন ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলন করছে। এ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও মামলা দায়েরের পর এ আন্দোলন অব্যাহত রাখার কোনো যুক্তি দেখি না।
প্রধানমন্ত্রী পাশে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তথ্য সচিব আবদুল মালেক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল ও সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি আবু জাফর সূর্য এবং সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, বিটিভি’র মহাপরিচালক এসএম হারুনুর রশিদ, পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ প্রমুখ।