ডেঙ্গুর পর এবার ‘গোদ রোগ’এর ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
নগরে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমেছে। তবে কমেনি মশার উপদ্রব। নগরবাসী মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। জনসাধারণ বলছেন, মশকনিধন কার্যক্রমে ঢিলেমির কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও ডিএসসিসি বলছে, কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। তবে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে নগরবাসীর।
ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে সে সময়ে যেভাবে মশকনিধন কার্যক্রম চালানো হয়েছিল তা এখন চোখে পড়ছে না। ফলে মশার কিউলেক্স উপদ্রব বেড়েছে। কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এখনই জোর দিতে হবে। মশকনিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
কিউলেক্স মশার উপদ্রব বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিদিন পাঁচটি করে ওয়ার্ডে জরিপ করা হচ্ছে। জরিপকারী কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
কীটতত্ত্ববিদেরা বলছেন, এখন নগরে মূলত কিউলেক্স মশার উপদ্রব চলছে। স্ত্রী কিউলেক্স মশার মাধ্যমে অসুস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে সুস্থ ব্যক্তির শরীরে ফাইলেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। ‘গোদ’ নামে পরিচিত এই রোগের কারণে হাত-পা ফুলে যায়। বারবার জ্বর হয়। গোদ রোগ বা ফাইলেরিয়াসিস (Filariasis) এক প্রকার পরজীবী ঘটিত রোগ। এটি ক্রান্তীয় অঞ্চলের সংক্রামক রোগ যা সূতার মতো একজাতের (ফাইলেরিওয়ডিয়া Filarioidea পরিবারভুক্ত নিমাটোড) গোলকৃমি দ্বারা সংঘটিত হয়।