দেবহাটায় পিটিয়ে শ্বশুরের মাথা ফাটিয়ে ও হাত ভেঙে দিয়েছে যৌতুকলোভী জামাতা
দেবহাটায় যৌতুকের দাবীতে মেয়ের ওপর চলমান নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে আসায় পিটিয়ে শ্বশুর সিরাজুল ইসলামের মাথা ফাটিয়ে ও হাত ভেঙে দিয়েছে সুমন হোসেন (২৯) নামের যৌতুকলোভী এক জামাতা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের নারিকেলি গ্রামে আহতের জামাই সুমন হোসেনের বাড়ীতে এঘটনা ঘটে। জামাইয়ের মারপিটে গুরুতর আহত শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি দেবহাটা উপজেলার সুশীলগাতী গ্রামের বাসিন্দা। তার মাথায় জখমের জন্য ছয়টি সেলাই দিতে হয়েছে এবং বাম হাতটি ভেঙে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। আহতের স্বজনরা জানান, প্রায় দুই বছর আগে দেবহাটার নারিকেলি গ্রামের বাবুর আলী গাজীর ছেলে সুমন হোসেনের সাথে সিরাজুল ইসলামের মেয়ে শিরিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবীতে শিরিনাকে নির্যাতন করতে থাকে স্বামী সুমন হোসেন। এরই মধ্যে শিরিনা সন্তান সম্ভবা হওয়ায় তার স্বামীর বাড়ী থেকে সুশীলগাতীতে পিতার বাড়ী চলে যায়।
মাস দেড়েক আকে সেখানেই একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় শিরিনা। সোমবার (৪ নভেম্বর) জামাতা সুমন হোসেন শিরিনাকে তার পিতার বাড়ী থেকে নারিকেলি গ্রামে নিজের বাড়ীতে নিয়ে যায়। ওই রাতেই আবারো যৌতুকের দাবী করে শিরিনাকে নির্যাতন করতে থাকে তার স্বামী। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি শিরিনা মোবাইলে তার পিতাকে জানালে সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি শোনা বোঝার জন্য নারিকেলিতে মেয়ে জামাইয়ের বাড়ীতে যান। এসময় দুজন কথা বলার একপর্যায়ে জামাতা সুমন হোসেন লাঠি দিয়ে শ্বশুর সিরাজুল ইসলামকে পেটাতে শুরু করেন।
মারপিটের একপর্যায়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় স্থানীয়রা সিরাজুল ইসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।