কালিগঞ্জে ১০ টাকা মূল্যের চাউল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় শেয়ার কার্ডের চাউল তোলার ক্ষেত্রে বাড়তি টাকা নেওয়াসহ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। মথুরেশপুর ইউনিয়নে দরিদ্র ও দুস্থদের জন্য ১০টাকা কেজি দরের চাউল বিতরণে অনিয়ম ও পরিবহন খরচের নামে কার্ডধারীদের কাছ থেকে অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
এসময় কয়েকজন ভুক্তভোগী কার্ডধারী সাংবাদিকদের কাছেও অভিযোগ করেন। চরশীতলপুর এলাকার ওয়াজেদ আলী খার ছেলে রানা জানান, দশ টাকা কেজি দরের চাউল বিতরণে ডিলার কামরুজ্জামান প্রত্যেক কার্ডধারিদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ১৫-২০ টাকা দাবি করছে। বিষয়টি জানতে সরেজমিনে গেলে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন ভুক্তভোগী কার্ডধারী রাশিদা খাতুন, আব্দুল হাকিম, ইব্রাহিম, নজরুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, সময় মতো ডিলারের কাছ থেকে চাউল পাওয়া যায় না।
চরশীতলপুর এলাকার বাসিন্দা এতিম অসহায় মনিরা খাতুন বলেন, প্রথম থেকেই ৩০ কেজি চাউল তুলতে ৩১০ টাকা নিচ্ছেন ডিলার কামরুজ্জামান আমাদের কাছ থেকে। এমনকি তালিকায় স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের একাধিক সদস্য ও বিত্তশালী ব্যক্তি রয়েছে। কার্ডধারী মোহাব্বত আলী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে জনপ্রতি অতিরিক্ত ১০ টাকা নেওয়া হয়েছে। তারপর থেকে আর ১০ টাকা বেশি না নিয়ে ৩০০ টাকা দিয়ে ৩০ কেজি চাউল নেয় সে।
বসন্তপুর গ্রামের মৃত নওসের আলীর ছেলে আব্দুল করিম বলেন, আমি গরিব মানুষ কার্ডের ব্যাপারে চেয়ারম্যানের কাছে গেলে আমাকে জানিয়ে দেন আমার নামে কোনো কার্ড হয়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তালিকায় নাম রয়েছে। তাই চলতি বছরের ১৮ই আগস্ট জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন বিচার পেলাম না। আমি এর বিচার চাই। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার ব্যাপারে ডিলার কামরুজ্জামান গাইন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন প্রকার অনিয়ম করছি না।
সকল প্রকার নিয়ম মেনেই চাউল বিতরণ করছি। অপর দিকে মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোন টাকা নেওয়া হয়নি কার্ডধারীদের কাছ থেকে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল অনিয়মের অভিযোগের বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবো। যাতে সরকারের কোনো প্রকার বদনাম না হয়। আর যেন গরিব ও অসহায়রা বাদ না পড়ে।