কালিগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে আহত ২
কালিগঞ্জ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ২ জন আহত হয়েছে। এবিষয়ে বরুণ কুমার ঘোষ বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার ভাড়া সিমলা ইউনিয়নের পূর্ব নারায়ণ পুর গ্রামের বরুণ কুমার ঘোষের সাথে মৃত কালিপদ ঘোষ এর ছেলে কীর্তিবাস ঘোষ ( ৪৮) দের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল।পূর্ব নারায়নপুর দুর্গা মন্দিরের দোহায় দিয়ে নারায়নপুর গ্রামের কিত্তিবাস ঘোষ, রণজিৎ হালদার এর ছেলে পুলক হালদার (৪৬),কনক চন্দ্র ঘোষের ছেলে স্বপন ঘোষ (৪৮), মৃত হিরেন্দ্র ঘোষের ছেলে অরুণ ঘোষ (৪৭) ও মৃত সতেন্দ্র ঘোষের ছেলে সুজিত ঘোষ (৪৬),দের সাথে একই এলাকার অসীম কুমার ঘোষের ছেলে বরুণ কুমার ঘোষের ৫ শতক জমি দীর্ঘ দিন ধরে জোর করে দখল নেওয়ার চেষ্টা চালাতে থাকে।
ওই জমি নিয়ে উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে কৃত্তিবাস ঘোষেরা অভিযোগ দায়ের করে। জমির প্রকৃত মালিক বরুণ কুমার ঘোষ হওয়ায় সবখানে তার পক্ষে রায় প্রদান করে।স্থানীয় বিচার না মেনে বরুণ ঘোষকে হয়রানি করার জন্য তারা সাতক্ষীরা আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করে। এই মামলায় তদন্ত ভার পড়ে কালিগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো মোঃ আলী আকবরের উপর। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কানুনগো ঘটনাস্থলে তদন্তে যান। তদন্ত শেষে ওই জমির উপরে রাখা মজুদকৃত ইট কার এটা জানতে চান তিনি।
এ সময় বরুণ ঘোষের নিজের জমিতে ঘর নির্মাণের জন্য রাখা ২ হাজার ইট কিত্তিবাস তার বলে দাবি করে। পরবর্তীতে ইট রাখা নিয়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে কীর্তিবাস ঘোষ, পুলক হালদার, স্বপন ঘোষ ,অরুণ ঘোষ ও সুজিত ঘোষসহ তিন-চার জন বরুণ কুমার ঘোষদের উপরে হামলা চালায়। এ সময় তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে বরুণ ঘোষের মামা দিলীপ কুমার ঘোষ ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী মায়ারানি ঘোষকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে ও শ্লীতাহানি ঘটায়। কৃত্তিবাস ঘোষের হাতে থাকা ধারালো দায়ের আঘাতে গুরুতর আহত হন দিলীপ কুমার ঘোষ।
এসময় মায়ারানি ঘোষের গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন জোরপূর্বক কেড়ে নেয় ওই দূর্বৃত্তরা। তাছাড়া বরুণ ঘোষ কে মারধর করে তার পকেটে থাকা ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। আহত অবস্থায় বর্তমানে দিলীপ কুমার ঘোষ, মায়ারানি ঘোষ ও বরুণ ঘোষ কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। তবে আহতরা কালিগঞ্জ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। এখনও পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ তিনি পাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।