মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিট, বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ ও হুমকি ধামকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনির জামায়াত ক্যাডার আলমগীর কর্তৃক এক বীরমুক্তিযোদ্ধাকে মারপিট, বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ, হুমকি ধামকিসহ নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, উপজেলার শরাফপুর গ্রামের মৃত মুন্সি তফিল উদ্দীন সরদারের ছেলে ভুক্তভোগী বীর মুক্তি যোদ্ধা শাহাদাত হোসেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলাম দেশকে স্বাধীন করার জন্য। কিন্তু দেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি রাজাকারের প্রেতাত্মাদের উৎপাতে জনজীবন বিপন্ন। তিনি বলেন, একই এলাকার চিহ্নিত জামায়াত ক্যাডার আলমগীরের নেতৃত্বে রাজাকার পুত্র জিয়া গাজী, শান্ত, তৌহিদুল, তারেক, রিংকু ও শিমুল আমাকে এবং আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানির চেষ্টায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে আলমগীরের কুপরামর্শে শান্ত আমার পুতনী শরাপুর হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে উত্যাক্ত শুরু করে। আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে আলমগীরের নেতৃত্বে স্থানীয় জামায়াত-শিবির ক্যাডার ও রাজাকার পুত্রসহ উক্ত সন্ত্রাসীরা আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে মারপিট, বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগসহ নানা ভাবে হয়রানি করতে থাকে। কৌশলে তারা আমাকে স্বপরিবারে সেখান থেকে উচ্ছেদ করতে চায়। আমি এ বিষয়ে স্থানীয় থানাকে অবহিত করলেও থানার পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বর্তমানে তাদের ভয়ে আমার পুতনী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সে স্কুলের যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাস্তায় উঠলে তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করা, ওড়না ধরে টানা হেচড়াসহ বিভিন্নভাবে অসম্মানিত করা হচ্ছে। যে কারণে সে আর স্কুলে যেতে চায় না। অথচ ওই আলমগীর ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে নাশকতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের ভয়ে আমার দুই পুত্র প্রায় ৮ মাস বাড়ি ছাড়া হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আলমগীর বাহিনী আমার সন্তানদের বাড়ি পেলে খুন,জখমসহ বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদান করছে। তিনি আরো বলেন, গত ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় আলমগীরের নেতৃত্বে রাজাকার পুত্র জিয়া গাজী, শান্ত, তৗহিদুল, তারেক, রিংকু, শিমুলসহ ১০/১৫ জনের সংঘবদ্ধ বাহিনী দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা চালায়।
এ সময় তারা আমাকে, আমার স্ত্রী সন্তান ও পুতনীকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এছাড়া প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শন করে, মুক্তিযোদ্ধাদের কুটুক্তি করে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে এবং খুন জখমের হুমকি দেয়। আমি তাদের ভয়ে বর্তমানে বাড়ি ছাড়া হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন ওই জামায়াত ক্যাডার আলমগীর বাহিনীর অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক সরদার, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর সরদার, মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা জবেদ আলী সরদার প্রমুখ।