চল্লিশেও ‘কুমারী’ পপি, জানালেন কারণ
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। ক্যারিয়ারেও একাধিক ব্যবসাসফল ছবি রয়েছে তার ঝুলিতে। পাশাপাশি পপি মডেলিং, ওয়েব সিরিজ, নাটক সব ক্ষেত্রেই সেরা। তবে একটা বিষয়ে বরাবরই পিছিয়ে এ নায়িকা। সেটি হলো, তার সমসাময়িক সব নায়িকার বিয়ে হয়ে গেলেও এখনো বিয়েই করেননি পপি।
তার বয়স এখন ৪০। ১৯৭৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ছয় ভাইবোনের মধ্যে পপি সবার বড়। পরিবারের অনিচ্ছাতে প্রথম মিডিয়াতে আসলেও এখন পপিকে সাপোর্ট দিচ্ছেন সকলেই।
তবে বিয়েই কেন করছেন না পপি? এমন উত্তরে বরাবরই জানা যায়, ভয়! বিয়েতে পপির কীসের ভয়? এমন প্রশ্নে শুরুতে কোন উত্তর না দিতে চাইলেও পরে পপি মুঠোফোনে বলেন, বিয়ে অনেক বড় একটি সিদ্ধান্ত। জীবনসঙ্গী হিসেবে একজন সঠিক মানুষের জন্য এখনো অপেক্ষা করছি। তবে একজন সৎ মানুষ পাওয়া বড়ই মুশকিল। আর চারদিকে প্রতিনিয়ত এত এত বিবাহবিচ্ছেদের খবর পাচ্ছি। যার ফলে বিয়েতে ভীষণ ভয় পাই।
প্রসঙ্গত, পপি প্রথম ১৯৯৫ সালে একটি ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মিডিয়ায় অভিষেক হয়। পরবর্তীতে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। যদিও শাকিল খানের বিপরীতে সোহানুর রহমান সোহানের পরিচালনায় ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ ছবিতে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। আর এই ছবির মাধ্যমেই কোটি দর্শকের প্রাণের নায়িকা হয়ে উঠেন পপি।
পপির ক্যারিয়ারের সেরা চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘কুলি, ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘দরদী সন্তান’, ‘লাল বাদশা’, ‘বিদ্রোহী পদ্মা’, ‘রানীকুঠির বাকী ইতিহাস’, ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘গঙ্গাযাত্রা’, ‘কি যাদু করিলা’, ‘পৌষ মাসের পিরীত’।
আর পপি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান ‘কারাগার’ (২০০৩), ‘মেঘের কোলে রোদ’ (২০০৮) ও ‘গঙ্গাযাত্রা’ (২০০৯) ছবির জন্য।