আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সাতক্ষীরা আশাশুনির চাপড়া বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে প্রধান শিক্ষক ও প্রিজাইডিং কর্তৃক কৌশলে পকেট কমিটি গঠনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও প্রতিকার চেয়ে শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাপড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিনাপ্রতিদ্বন্দিতার নির্বাচিত দাতা সদস্য আশাশুনি উপজেলার চাপড়া গ্রামের মৃত পিচির উদ্দিন সরদারের ছেলে নজরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ এস এম মোস্তাফিজুর রহমান নানা অনিয়ম ও দূতিনীতে জাড়িয়ে পড়লে আমি এর প্রতিবাদ করলে তার সাথে আমার বিরোধ বাধেঁ। উক্ত বিদ্যালয়ে ২৯/০৯/২০১৯ তারিখে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনী তফশীল ঘোষনা করা হয়। ১২,১৩,১৪ সেপ্টম্বর মনোনয়ন পত্র খরিদ জমা দেওয়ার তারিখ। আমি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে মনোনয়ন ক্রয় করি এবং জমা দেই। ১৬ সেপ্টম্বর মনোনয়ন প্রত যাচাই বাছাইয়ের দিন প্রিজাইডিং অফিসার দেখেন শিক্ষক প্রতিনিধি অভিভাবক সদস্যদের মনোনয়নপত্র ও ভোটারের কাগজপত্র জমা থাকলেও দাতা সদস্য্যের কোন মনোনয়ন পত্র ভোটার সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র জমা নেই। যে কারনে প্রিজাইডিং অফিসার আমাকে দাতা সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেননি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আমার দাতা সদস্যর ভোটার কাগজপত্র ২০ হাজার টাকার জমাকৃত মানি বিসিভের কপি ও রেজুলেশেন কপি উপস্থাপন করলে তিনি প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রিজাইডিং অভিসার হাসানুজ্জামান বলেন, প্রধান শিক্ষক আমার কাগজপত্র যথাসময় না দেওয়ায় আপনাকে দাতা সদস্য হিসেবে নিতে পারলাম না। এ ঘটনায় তিনি ২৩/১০/১৯ তারিখে সাতক্ষীরা দেওয়ানি আদালতে মামলা করি। আদালত ২৪/১০/১৯ তারিখে প্রধান শিক্ষক, প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাব দিতে বলেন।গত ২৯/১০/১৯ তারিখে প্রধান শিক্ষক আদালতে হাজির হয়ে সময় প্রার্থনা করলে আদালত আরো ২৪ ঘন্ট সময় দেন। কিন্তু আদালত ৩০/১০/১৯ তারিখে বিচারক মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চাপড়া বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী ৩১/১০/২০১৯ তরিখে উক্ত বিদ্যালয়ের নির্বাচনের দিন ধার্য ছিল। আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাটি নিয়ে আদালতের একজন সার্ভেয়ার স্কুলে গেলে কেউ সেটি গ্রহন করেনি। দূনীতিবাজ প্রধান শিক্ষক ও প্রিজাইডিং অফিসার সেটি গ্রহন করে আত্মগোপন করেন। দায়িত্বে থাকা উপজেলা শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক বিমালন্দ দাশ উপস্থিত থাকলেও বলেন আমাদের লিখিত কোন দায়িত্ব নেই আমারা নিতে পারবো না। সার্ভেয়ার উপোয়ান্ত না পেয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলা দুইটার সময় রিসিভ করে প্রিজাইডিং অফিসারকে ব্যাবস্থা গ্রহন করতে বলেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেটি গ্রহন না করে প্রসেস সার্ভেয়ার ও পিয়নকে বিদ্যালয়ে আটকে রাখেন। বেলা চারটার দিকে প্রধান শিক্ষক ও প্রিজাইডিং অফিসার স্কুলে ঢুকে আদেশটি গ্রহন করে ৪.২০ মিনিট দেখিয়ে স্বাক্ষর করেন। যাতে নির্বাচন হয়ে গেলে তিনি আদেশটি পেয়েছেন বলে দেখাতে পারেন। তিনি দূনীতিবাজ প্রধান শিক্ষক ও প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।