মহাত্মা গান্ধী ও ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর সম্মাননায় ভূষিত অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমান
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজর অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমানকে আবারও মহাত্মা গান্ধী স্মৃতি সম্মাননা ও ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর স্মৃতি সম্মাননা এবং সনদ প্রদান করেছে।
কলেজ সূত্রে জানা যায় – ” শ্রুতিবৃত্ত ও কথামানবী ” এর যৌথ উদ্যোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার বিকেল ৫ টায় ভারত কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ড. ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়ামে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ বছর ও ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর এর ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই বাংলার মৈত্রী উৎসব ” দেখি বাংলার মুখ ” মহাত্মা গান্ধী স্মৃতি সম্মাননা, ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর স্মৃতি সম্মননা অর্পণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আলোকিত বাংলার মুখ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বেশ কিছু সংখ্যক মান্য ব্যক্তিদের মহাত্মা গান্ধী স্মৃতি সম্মাননা, ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর স্মৃতি সম্মাননা ও সনদ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমান বলেন,”আলোকিত বাংলার মুখ ফাউন্ডেশনের সভাপতি গত ১৮ অক্টোবর চিঠি মারফত তাকে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য যথাক্রমে ( শ্রুতিবৃত্ত ও কথামানবী ) মহাত্মা গান্ধী স্মৃতি সম্মাননা, ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর স্মৃতি সম্মাননায় ভূষিত করার সুপারিশ করেছে। এক্ষেত্রে তিনি ওই সম্মাননায় মনোনীত হয়েছেন বলে অবহিত করা হয় এবং গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) তিনি
পুরষ্কার দুটি গ্রহণ করেন।
তিনি আরও জানান শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, শিক্ষাই শক্তি। আমার এলাকা তথা দেশের সর্বত্র ছেলে মেয়েরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হোক । এ লক্ষ্যে আমি ১৯৯৭ সালে এলাকার সুধীজন , সচেতনমহল , সকলকে নিয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ( ঝাউডাঙ্গা কলেজ ) প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু কলেজ নির্মাণ করার সময় ছিল অনেক বাধা -বিপত্তি, প্রতিবন্ধকতা। সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজকের এই ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ সফলতার মুখ দেখেছে।
উল্লেখ্য যে, তিনি ইতিপূর্বে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও শেরে বাংলা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন ।