তালায় ১ম বর্ষের খাতা দেখছেন প্রভাষকের ৩য় বর্ষের শ্যালিকা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র-ছাত্রীর অভিযোগ রয়েছে যে, তারা পরীক্ষা অনুযায়ী আশানুরুপ ফল পান না। আবার অনেকেই প্রত্যাশার চেয়ে বেশি নম্বর পাওয়ার অভিযোগটিও বেশ পুরনো। 

শিক্ষার্থীদের মতে, এর অন্যতম কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে, খাতার সঠিক মূল্যায়ন না হওয়া। শিক্ষকেরা নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থেকে নিজের ছোট ভাই, সন্তান বা আত্নীয়স্বজনদের দিয়ে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করান।

এদিকে গণমাধ্যমেও এ ধরনের অনেক খবর আগেই এসেছে। তবে অনেকেই বলছেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

তবে এবার সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স প্রথম বর্ষের ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ বিষয়ের পরীক্ষার খাতা দেখছিলেন শিক্ষকের শ্যালিকা।

শ্যালিকা সোমা মহলদার নিজে কুমিরা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত বুধবার দুপুরে বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের চোখে পড়ে।

পরে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, তালা উপজেলার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আদিত্য ব্যানার্জির নামে আসা ওই খাতা তার শালিকা তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সোমা মহলদার দেখছিলেন।

এ সময় সোমা মহলদার জানান, তার দুলাভাই শিক্ষক আদিত্য ব্যানার্জী ৫০টি খাতা দেখে দেয়ার জন্য বলেছিলেন। তাই তিনি খাতাগুলো দেখে দিচ্ছেন।

তবে শিক্ষক আদিত্য ব্যানার্জি বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি চোখে কম দেখার কারণে বৃত্ত ভরাটের জন্য খাতাগুলো শালিকা সোমা মহালদারের কাছে দিয়েছি।

এ বিষয়ে কুমিরা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফুন আরা জামান বলেন, কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তালার ইউএনও মো. ইকবাল হোসেন বালেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)