এমপিওভুক্ত হচ্ছে ২৭৩০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান;দুপুরে ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

দীর্ঘ ৯ বছর পর এমপিওভুক্তির বন্ধ দরজা খুলছে আজ বুধবার। আজ নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে দুপুর ১২টায় এই ঘোষণা দেবেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এমপিওভুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানান। এ সময় প্রেসক্লাবের সামনে চলমান অনশন কর্মসূচি থেকে শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের আজকের সংখ্যায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজের সংখ্যা ১ হাজার ৬৫১টি, মাদ্রাসা ৫৫৭টি এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৫২২টি। সম্পূর্ণ নতুন স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্ত হচ্ছে ৬৮০টি এবং প্রতিষ্ঠানের নতুন স্তর এমপিওভুক্ত হচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯৭১টি। নতুন এমপিওভুক্তির মধ্যে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৩৯টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৪৬টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ২টি এবং কলেজ ৯৩টি। আর স্তর এমপিওভুক্ত হয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮৪৯টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬৬টি এবং কলেজ ৫৬টি।

আর নতুন এমপিওভুক্ত দাখিল মাদ্রাসার সংখ্যা ৩৫৯টি, প্রতিষ্ঠানের নতুন স্তর এমপিওভুক্ত হচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আলিম ১২৭টি, ফাজিল ৪২টি ও কামিল ২৯টি। কারিগরির সব প্রতিষ্ঠানই নতুন এমপিওভুক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে কৃষি ৬২টি, ভোকেশনাল স্বতন্ত্র ৪৮টি, ভোকেশনাল সংযুক্ত ১২৯টি, বিএম স্বতন্ত্র ১৭৫টি ও বিএম সংযুক্ত ১০৮টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তালিকা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্য ক্রস চেক করা হয়েছে। তালিকাটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর পরও কিছু যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবারও পাঠানো হয়েছে। সব সঠিকতা যাচাই করেই এমপিওভুক্তির ফাইলে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেছেন। সর্বশেষ যে-সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হয়েছিল, এবার সংখ্যায় তার প্রায় দ্বিগুণ। তবে একটু দেরি হলেও গত জুলাই মাস থেকেই এই এমপিওভুক্তি কার্যকর হবে। মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে এমপিওভুক্ত হওয়াসহ সব প্রতিষ্ঠানকে নীতিমালা অনুযায়ী তাদের মান ধরে রাখতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান এতে ব্যর্থ হলে তাদের এমপিও সাময়িক স্থগিত করা হবে। পুনরায় যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে আবারও এই সুবিধার আওতায় আনা হবে। এমপিও পেয়ে গেছে ভেবে হাল ছেড়ে দিলে তারা বিপদে পড়বে।

যোগ্য নির্বাচিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত করা হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, কিছু উপজেলা রয়েছে, যেখান থেকে কোনো আবেদনই পাওয়া যায়নি। আবার নারী শিক্ষা, পাহাড়ি অঞ্চলসহ অনগ্রসর এলাকা বিবেচনা করে নীতিমালা অনুযায়ী কিছু প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। তবে খুবই কম উপজেলা আছে, যেখান থেকে প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)