সাতক্ষীরায় মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরায় এক বাসের হেল্পারকে বাড়ি থেকে আটক করে পরিকল্পিত ভাবে গাজা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন শহরের মধুমল্লারডাঙ্গী এলাকার বিল্লাল হোসেনের মা মাসুদা খাতুন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার পুত্র মো. বিল্লাল হোসেন বাসের হেল্পারি করে কোন রকমে ৫ সন্তানের সংসার পরিচালনা করেন।
গত ১৬ অক্টোবর দুপুরে আমার ছেলে বাড়ি ফিরে ভাত খেতে বসলে কাটিয়া পুলিশ ফাড়ির এ এস আই নাসির উদ্দিন পিছন থেকে এসে তার জামার কলার ধরে হাতকড়া লাগায়। আমরা কারণ জিজ্ঞাসা করলে ওই এ এস আই আমাদের অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে আমার ছেলেকে নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে ফাঁড়িতে খোজ নিতে গেলে এ এস আই নাসির আমার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। তারপর রাতে থানায় নিয়ে যায়। আমরা রাত ২ টা পর্যন্ত থানাতে থাকলেও তাকে ছেড়ে দেয়নি। পরে ১শ’ ৫০ গ্রাম গাঁজা দিয়ে আমার ছেলে বিল্লাকে জেল হাজতে চালান দেয়। তিনি আরও বলেন, মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে বিল্লালের প্যান্টের পিছনের পকেট থেকে মালমলার আলামত হিসেবে গাজা পাওয়া যায়। কিন্তু আমার ছেলেকে যখন আটক করে তখন তার লুঙ্গি পরা ছিল।
এমনকি আমার ছেলেকে যখন জেল হাজতে পাঠায় তখনও তার লুঙ্গি পরা ছিল। লুঙ্গি পরা অবস্থায় কিভাবে আমার ছেলের প্যান্টের পকেটে গাঁজা পাওয়া গেল সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। এছাড়া মামলায় যে দুজন ব্যক্তিকে সাক্ষী বানানো হয়েছে তারা আমাদের এলাকার কেউ না। আমরা খোজ নিয়ে জানতে পারি উক্ত সাক্ষীরা শহরের কাটিয়া মাঠপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং কাটিয়া ফাঁড়ির সোর্স হিসেবে কাজ করে। এমতাবস্থায় তার (মাসুদা খাতুনের) ছেলেকে নি:শর্ত মুক্তির দাবীসহ এ এস আই নাসিরের এহন অপকর্মের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।