তালার টিকারামপুরের নারীলোভী পিতা কর্তৃক সন্তানদের বঞ্চিত করে সম্পত্তি বিক্রি করে ভারতে চলে যাওয়ার পায়তারা চালানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার টিকারামপুর গ্রামের নারীলোভী পিতা কর্তৃক সন্তানদের বঞ্চিত করে সম্পত্তি বিক্রয় করে ভারতে চলে যাওয়ার পায়তারা চালানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, টিকারামপুর গ্রামের অচিন্ত কুমার আইচের ছেলে তরুন কুমার আইচ।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার মায়ের মৃত্যুর পর আমি কালিগঞ্জের খারাট গ্রামের শম্ভু নাথ দাসের কন্যা জয়ন্তীকে বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকে আমার নারী লোভী পিতা আমার স্ত্রীকে কু-প্রস্তাব দিবে থাকে। একপর্যায়ে আমার স্ত্রীর সাথে পিতার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি আমি জানতে পেরে প্রতিবাদ করতে গেলে আমার পিতা আমাকে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে। এরপর আমি লোকলজ্জার ভয়ে ভারতে চলে যাই। সেখানে আমার নামীয় ৫ কাঠা সম্পত্তিতে বসবাস শুরু করি।
কিন্তু আমার পিতা কৌশলে ভারতে কতিপয় সন্ত্রাসী ভাড়া করে জোরপূর্বক আমার সম্পত্তি লিখে নিয়ে আমাকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে ওই জয়ন্তীকে ভারতে পাঠিয়ে আমার সম্পত্তিতে বসবাসের সুযোগ করে দেয়। এখন আমার পিতা তালার টিকারামপুর গ্রামের সম্পত্তি তার সন্তানদের ভাগ না দিয়ে সবই ওই জয়ন্তীকে দেওয়ার পাতারায় লিপ্ত রয়েছে। ইতিমধ্যে ৭০ বিঘার সম্পত্তি মধ্যে বিক্রয় করতে করতে আর মাত্র ৫/৬ বিঘা জমি রয়েছে। এই জমি টুকু বিক্রয় করে তিনি রাতারাতি ওই দুশ্চরিত্র জয়ন্তীর কাছে চলে যাওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি দ্বিতীয় বিবাহ করলে দ্বিতীয় স্ত্রীকেও কুপ্রস্তাব দেন নারীলোভী এই পিতা। কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রী তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে আর সহ্য করতে পারছেন না। আমার পিতা এতটাই জঘন্য চরিত্রের মানুষ যে আমার মাতা জীবিত থাকায় অবস্থায় বাড়ির পাশের পানের বরজে কাজ করা একাধিক মহিলাসহ বাড়ির কাজের মহিলারাও তার হাত থেকে রেহাই পাননি। আমার মা এসবের প্রতিবাদ করলে প্রায়ই তাকে মারপিট করে গুরুতর ফোলা জখম করতো।
তিনি এক সময় এলাকার ইউপি মেম্বর হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন মহলে তার যোগাযোগ থাকায় তার এসব অপকর্মের কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাননা। তিনি আরো বলেন, জয়ন্তীর প্রেমে মত্ত হয়ে আমার নারীলোভী পিতা তার সন্তানদের বঞ্চিত করে পথে বসিয়ে সকল সম্পত্তি বিক্রি করে এখন ভারতে যাওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন। এমতাবস্থায় তিনি (তরুন) তার নারী লোভী পিতা যাতে বাংলাদেশের সকল সম্পত্তি গোপনে বিক্রয় করে ভারতে না যেতে পারেন এবং তার অপকর্মের শাস্তির দাবীতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।