পাঁচ রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার পাঁচ রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।
এ মামলার আসামিরা হলো- মো. রঞ্জু মিয়া, আবদুল জব্বার মণ্ডল, মো. জাসিজার রহমান খোকা, মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল ও মো. মমতাজ আলী বেপারি ওরফে মমতাজ। তাদের মধ্যে কেবল রঞ্জু মিয়া কারাগারে রয়েছেন; বাকিরা পলাতক।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, দেশেত্যাগে বাধ্য করা ও হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ এ আসামিদের বিরুদ্ধে।
এ মামলায় মোট আসামি ছিল ছয়জন। তাদের মধ্যে আজগর হোসেন খান মামলার তদন্ত চলাকালেই মারা যান।
২০১৮ সালের ১৭ মে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বাকি পাঁচ আসামির যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউশন জানিয়েছে, আসামিরা সবাই গাইবান্ধা সদর উপজেলার নান্দিনা ও চক গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা। একাত্তরে তারা সবাই ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী ও সমর্থক। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষ নিয়ে তারা রাজাকার বাহিনীতে নাম লেখান এবং ওই এলাকার বিভিন্ন গ্রামে যুদ্ধাপরাধ ঘটনা। জব্বার ও খোকা মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৯৭২ সালে গ্রেফতার হলেও বিচার হয়নি।