বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা শুরু
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা সোমবার সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে গতকাল থেকেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ভর্তি কমিটি সূত্র জানিয়েছে, এ বছর ভর্তির জন্য ১৬ হাজার ২৮৮টি আবেদন পড়েছিল। তার মধ্যে থেকে ১২ হাজার ১৬১ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। আট হাজার ৮৯৬ জন ছাত্র ও তিন হাজার ২৬৫ জন ছাত্রী। আর মেধা অনুযায়ী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন এক হাজার ৬০ জন। এরমধ্যে এক হাজার পাঁচ জন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ও ৫৫ জন আর্কিটেকচার বিভাগে ভর্তি হতে পারবেন।
আর্কিটেকচার বিভাগে ভর্তির জন্য দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় ড্রয়িং পরীক্ষা দিতে হবে। ৫ নভেম্বরের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা ফল প্রকাশিত হবে।
গত শনিবার একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে নির্ধারিত সময়েই বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। রাতেই আসন বিন্যাসসহ দাফতরিক নানা কাজ সম্পন্ন করেন ভর্তি পরীক্ষা কমিটি। রোববার দুপুরে ভর্তি পরীক্ষায় নিরাপত্তার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, এত বাধার মধ্যেও আমরা ভর্তি পরীক্ষার যে কাজগুলো ছিল সেগুলো শেষ করতে পেরেছি। আমাদের পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল ৫ অক্টোবর। কিন্তু ভর্তিচ্ছুদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা পূজার শেষে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা আশা করছি, সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরাও আমাদের সহায়তা করবেন।
বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ভর্তি পরীক্ষার জন্য যে কাজগুলো বাকি ছিল শনিবার দুপুর থেকেই সেগুলো আমরা শুরু করেছি। রোববার রাতের মধ্যেই সব কাজ শেষ হবে। প্রশ্ন তৈরিসহ প্রাথমিক কাজ আমরা আগেই শেষ করেছি। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। আগামীকাল পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
জানা গেছে, যানজট এড়াতে সব পরীক্ষার্থীকে সকাল ৮টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বুয়েট ক্যাম্পাসে দুই শিফটে ১০ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা হবে। ক্যাম্পাসের মূল গেইটের সামনেই ভর্তি পরীক্ষার সিট প্ল্যান বড় ব্যানারে টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্থানেই সিট প্ল্যান টাঙানো হয়েছে। ভবনগুলোতেও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।