জাতিসংঘ দূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব : আবরার
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়ার জবাব দিতে ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোকে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।
ঢাকায় জাতিসংঘ সমন্বয়কারীর দফতর থেকে সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলা হয়, অবাধে মতপ্রকাশ করার অভিযোগে বুয়েটের এক তরুণ ছাত্রকে হত্যা করায় জাতিসংঘ নিন্দা জানায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশে মতপ্রকাশের অবাধ স্বাধীনতা রয়েছে।
একই সঙ্গে আবরার হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
জাতিসংঘ দূত মিয়া সেপ্পো বেলা ১১টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক নাহিদা সোবহানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিট আলোচনা হয়।
বৈঠক সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, আবরার হত্যার ব্যাপারে বাংলাদেশ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশে মতপ্রকাশের অবাধ স্বাধীনতা রয়েছে- এই বিষয়ও তাকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার পর জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ প্রতিক্রিয়া জানায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবার প্রতিক্রিয়ার জবাব দেবে কিনা তা জানা যায়নি।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে তারা দুটি বিষয়ে বলেছেন।
প্রথমত, মুক্তভাবে নিজের মতপ্রকাশের জন্য বুয়েট ছাত্র আবরারকে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে জাতিসংঘের বিবৃতিতে, যা সঠিক নয়। ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে অনেকেই নানা মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা-মন্তব্য করেছেন। সরকার কাউকে তার মতপ্রকাশে বাধা দেয়নি। এমনকি আবরার খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত সে ফেসবুকে কী লিখেছে তা সরকারের ধারণায় ছিল না।
দ্বিতীয়ত, উন্নত বিশ্বে যখন কোনো ছাত্র হত্যার ঘটনা ঘটে, তখন তা নিয়ে জাতিসংঘকে কথা বলতে দেখা যায় না। বাংলাদেশে কোনো ঘটনা ঘটলেই তাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়ানো হয় কেন।
উল্লেখ্য, আবরার হত্যার পর বাংলাদেশে জাতিসংঘের সমন্বয়কারীর দফতর থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, অবাধে মতপ্রকাশ করার অভিযোগে বুয়েটের এক তরুণ ছাত্রকে হত্যা করায় জাতিসংঘ নিন্দা জানায়। ক্যাম্পাসে সহিংসতা বাংলাদেশে অনেক প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।