জাপানে শক্তিশালী টাইফুনের আঘাত:নিহত ১০
জাপানে গত ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন হাগিবিস আঘাত হেনেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার কিছুক্ষণ আগে হাগিবিস দক্ষিণ-পশ্চিম টোকিওর ইজু উপদ্বীপে আঘাত হানে।
জাপানের সংবাদসংস্থা এনএইচকে’র খবর অনুযায়ী, কানাগাওয়া, তোচিগি, গুনমা, ইওয়াতে, মিয়াগি, ফুকুশিমা, চিবা এবং সায়তমা অঞ্চলে টাইফুনের কারণে কমপক্ষে ১০ জন মারা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১২৮ জন। নিখোঁজ রয়েছেন ৬০ জন।
কর্মকর্তারা এখন মোট হতাহতের সংখ্যা নির্ধারণের চেষ্টা করছেন। তবে টাইফুনে ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, টাইফুন ‘হাগিবিস’ এখন জাপানের মূল দ্বীপের পূর্ব উপকূল ধরে এগিয়ে যাচ্ছে এটি। এই ঝড়ে বাতাসের গতি উঠেছে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২৫ কিলোমিটার।
কিয়োদো নিউজ এজেন্সি বলছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনের মৃতদেহ শনাক্ত করা গেছে। তীব্র বন্যা এবং ভূমিধ্বসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় ৭০ লাখের বেশি মানুষকে তাদের বাড়ি ছাড়তে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাপানের আবহাওয়া কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘বিভিন্ন শহর এবং গ্রামে অতিরিক্ত মাত্রায় বৃষ্টি হওয়ায় জরুরি সতর্ক অবস্থা জারি করা হয়েছে।’ এদিকে আবহাওয়া কেন্দ্রের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, টোকিও এলাকায় শনিবার এবং রোববারের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত প্রায় আধা মিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।
খবরে বলা হয়েছে, শনিবার টোকিওর অনেক এলাকায় বুলেট ট্রেন এবং মেট্রোর অনেক ট্রেন সেবা বন্ধ ছিল। টোকিওর হানেদা এবং চিবা’র নারিতা বিমানবন্দর মোট এক হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে।
এ ছাড়া শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রাগবি বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। টুর্নামেন্টের ৩২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ম্যাচ বাতিল করা হলো। এদিন জাপান গ্রাঁ প্রি’র ফর্মুলা ওয়ান কোয়ালিফাইং রেইসও স্থগিত করা হয়।
এর আগে গত মাসে টাইফুন ‘ফাক্সাই’ জাপানের বিভিন্ন অঞ্চলে বাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। সে সময় ৩০ হাজারের বেশি বাড়ি ধ্বংস হয় যার অধিকাংশই এখনো মেরামত করা হয়নি।