সড়কের মাঝখানে খুঁটি জরুরী ভাবে জীবন বাঁচাতে ফায়ার সার্ভিস ও এ্যাম্বুলেন্স চলাচলে প্রতিবন্ধকতা
সাতক্ষীরার জনগূরুত্বপূর্ণ সড়কের মাঝখানে খুঁটি বসিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। জরুরী ভাবে জীবন বাঁচাতে অগ্নি নির্বাপক ফায়ার সার্ভিস ও এ্যাম্বুলেন্স চলাচলে প্রতিবন্ধকতা। হুমকির মুখে অসহায় মানুষের জীবন। কাদের স্বার্থে এ প্রতিবন্ধকতা ? এলজিইডি ও পৌরসভার বাস্তবায়নে নির্মাণকৃত রাস্তার মাঝখানে খুঁটি বসানোর হিড়িক পড়েছে। এলজিইডি, পৌরসভার সাথে সংশ্লিষ্ট অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাস্তার মাঝখানে খুঁটি বসাচ্ছে। নির্মাণকৃত কাজের মেইনটেনেন্স ও সংস্কারের জন্য নির্মাণ কাজের ১০% জামানত থাকে।
জামানতের টাকা এক বছর পরে ফেরত পায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। সে নিয়ম ও মানা হচ্ছেনা। রাস্তা টেকসই ভালমানের দেখাতে রাস্তার মাঝখানে বসছে এক বছর মেয়াদী খুঁটি এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জামানতের টাকা হচ্ছে ভাগবাটোয়ারা। রাস্তার কাজের মান এত পরিমাণ খারাপ কম্পাকসান এত কম রাস্তার উপর হালকা যানবাহন চলাচল করলেও রাস্তার জামানত ফেরত পাবেনা।
সেজন্য এলজিইডি ও পৌরসভার কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় শহরের আবাসিক এলাকাসহ রাস্তার মাঝখানে খুঁটি বসানো হচ্ছে। সাতক্ষীরার সার্কিট হাউজের সামনে বকচরা সড়কসহ শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন সড়কের মাঝখানে খুঁটি বসিয়ে জীবন বাঁচাতে অগ্নি নির্বাপক ফায়ার সার্ভিস ও এ্যাম্বুলেন্স চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।
শিডিউল অনুযায়ী টেকসই রাস্তা নির্মাণ না করে নির্মাণ কাজে ফাঁকি দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে জামানতের টাকা হচ্ছে হরিলুট। জনগণের মাথায় কাঁঠাল রেখে ভেঙ্গে খাচ্ছে আর অসহায় জনগণ ও পথচারীরা পড়ছে ভোগান্তিতে। দেশের উন্নয়নে বাঁধাগ্রস্ত কারী দুর্নীতিবাজদের রুখবে কে ?
এব্যাপারে সাতক্ষীরা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ কুমার কুন্ডু বলেন, রাস্তার মাঝখানে এলজিইডি থেকে কোন খুঁটি বসানো হয়নি এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকেও খুঁটি বসাতে বলা হয়নি। খুঁটি বসানোর এধরনের কোন নিয়ম নেই।
আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবো। রাস্তার লোড ক্যাপাসিটি অনুযায়ী যানবাহন চলাচলে বারপোষ্ট দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে বার বসানোর খরচ ও অনেক বেশি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাস্তার মাঝখানে খুঁটি বসিয়েছে বলে জানান তাদের স্বার্থে কলে জানান স্থানীয়রা।
এব্যাপারে সাতক্ষীরার সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে রাস্তার মাঝখানে খুঁটি না দিয়ে বার-পোষ্ট দিলে জরুরী ভাবে জীবন বাঁচাতে অগ্নি নির্বাপক ফায়ার সার্ভিস ও এ্যাম্বুলেন্স চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দূর হবে বলে মনে করছেন পথচারী ও সচেতন মহল।