কেউ কথা রাখেনি :এখনো পাকা হয়নি বারজীবীপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার ৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা
যশোরের কেশবপুরের গৌরীঘোনার বৈশ্য বারজীবীপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার ৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা একাবারেই চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি দ্রুত পাঁকাকরণের দাবী করেছেন ভুক্তভোগি এলাকাবাসি।
সরেজমিন জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম হচ্ছে গৌরীঘোনা গ্রাম। গ্রামটির একটি বৃহৎ অংশ উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে। গৌরীঘোনা গ্রামে বৈশ্য বারজীবী পাড়া ও দক্ষিণপাড়ায় প্রায় ২ শত সনাতন ধর্মালম্বি পরিবারের বসবাস। কিন্তু ঐ এলাকায় কোন রাস্তাঘাট না থাকায় একটি বিচ্ছিন্ন এলাকায় পরিণত হয়ে পড়েছে। পাকা রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীরা ঠিক মত স্কুলে যেতে পারে না। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পন্য বাজারজাত করতে পারে না। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসাপাতালে নেয়া দুরুহ হয়ে পড়ে। প্রশাসন ও পুলিশি নজরদারী না থাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা দেখা দেওয়ায় পরিবারগুলি নিরাপত্তাহীনতায় থাকে। গৌরীঘোনা বাজারের পাঁকা রাস্তার মাথা হতে গৌরীঘোনা গ্রামে বৈশ্য বারজীবীপাড়া ও দক্ষিণপাড়ায় মধ্যদিয়ে ৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি পাঁকাকরণ ঐ এলাকাবাসির প্রাণের দাবীতে পরিণত হয়েছে।
বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিরা তাদের কাঁচা রাস্তাটি পাঁকাকরণের আশ্বাস দিলেও কেউ কথা রাখেনি। ইতিপূর্বে প্রায়ত শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচ কে সাদেকের নিকট রাস্তাটি পাঁকাকরণের দাবী করলে তিনি রাস্তাটি পাঁকাকরণের সদিচ্ছা প্রকাশ করেন। অজ্ঞাত কারণে সে সময় রাস্তাটি পাঁকাকরণ হয়নি। পরবর্তীতে সাবেক হুইপ অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাবও রাস্তাটি পাঁকাকরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কার্যকরী হয়নি। কেশবপুরের বর্তমান সাংসদ সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের নিকটও তাঁরা রাস্তটি পাঁকাকরণের দাবী জানান।
বর্তমানে এলাকাবাসি অনেক আশানিয়ে বসে আছেন যে তাদের রাস্তাটি পাঁকাকরণ হবে। আসলেই কি তাদের রাস্তাটি পাঁকাকরণ হবে ?
এ ব্যাপারে গৌরীঘোনা গ্রামের প্রবীণ আওয়ামী লীগনেতা নেপাল হোল্ড আক্ষেপ করে বলেন, অনেক জনপ্রতিনিধিরা আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কেন্তু কেউ কথা রাখেনি। তিনি আরো বলেন, আমরা তো আমাদের যোগাযোগের রাস্তাটি পাঁকাকরণ ছাড়া আর কিছুই চায়নি ? তিনি তার জীবন দশায় রাস্তাটি পাকাকরণ দেখে যেতে পারবেন কি না সে ব্যাপারে শংশয় প্রকাশ করেন।