ফারাক্কা বাঁধের ১১৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত;বন্যার আশঙ্কা বাংলাদেশে
ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা থেকে বিহারের রাজধানী পাটনাসহ আরও ১২ জেলাকে রক্ষার জন্য ফারাক্কা বাঁধের ১১৯টি গেটের সবগুলো খুলে দিয়েছে ভারত।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার সংবাদে এ তথ্য জানা গেছে।
ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ার ফলে বিহার ও উত্তর প্রদেশের বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশে। রাজশাহীতে পদ্মার পানি বেড়েই চলেছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপাত্ত সংগ্রহকারী এনামুল হক জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় পদ্মায় পানির উচ্চতা ছিলো ১৮ দশমিক ৪ মিটার। অর্থ্যাৎ বিপদসীমার মাত্র ৪৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার সকাল ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ৯০ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১৪ সেন্টিমিটার।
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি কেন্দ্রীয় সরকারকে উত্তর প্রদেশ ও বিহারের বন্যা পরিস্থিতির প্রতি নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান, বন্যায় দুই রাজ্যে ৪৮ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে বিহারে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।
জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ফারাক্কার সব গেট খুলে দেয়ায় পশ্চিবঙ্গের মুর্শিদাবাদের একাংশ ও বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মালদা জেলার ফুলহর, মহানন্দা ও কালিন্দী নদীতে পানি বাড়ছে। সেখানে একাধিক জায়গায় নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। চরম বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গা ও ফুলহর।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, পদ্মায় পানি বাড়লেও শহরে এখনো তা ঢুকবে না। শহরের সাথে সংযুক্ত সুইচগেটগুলো শিগগিরই বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোদাগাড়ী, পবা, বাঘা ও চারঘাটের চরাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতির আশংকা আছে।
এদিকে বাঘার চরাঞ্চলের ১১ টি স্কুল রোববার থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুকে জানিয়েছেন, এসব পানিবন্দী মানুষকে সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।