মুন্সীগঞ্জে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গৃহ নির্মাণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্তের নির্দেশনা
শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ৬২ নং সেন্ট্রাল কালিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কামরুন্নাহারের বিরুদ্ধে অর্থবছরের গৃহনির্মাণের অর্থ আত্মসাৎ সহ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের জরুরী ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেন শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামা।
গত বুধবার প্রধান শিক্ষিকা কামরুন নাহার এর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ওয়াইফ তাই গৃহনির্মাণের টাকা আত্মসাৎ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রিন্ট মিডিয়া সহ কয়েকটি অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হওয়ার পরে এই তদন্তের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকসহ কয়েকটি দপ্তরে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকবৃন্দ লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, প্রধান শিক্ষিকা ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকবৃন্দের কোন তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ের সরকারি বাজেটর অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি টাকার কোন হিসাব স্থানীয় ম্যানেজিং কমিটিকে না দিয়ে ওপর মহলকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আত্মসাৎ কৃত খাতসমূহ অস্থায়ী গৃহনির্মাণের ,স্লিপের বরাদ্দ, জরুরী শিক্ষা খাতের বরাদ্দ ,জাতীয় শোক দিবসের টাকা খরচ না করা।
শিশুদের উপর শারীরিক নির্যাতন , প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর টাকা খরচ না করা, বিদ্যালয়ের পুকুর বরাদ্দ দিয়ে টাকা খরচ না করা, বিস্কুটের কার্টুন বিক্রিয় টাকা জমা না দেওয়া,সরকারি বইপত্র ও খাতা বিক্রি করা , ছাত্র-ছাত্রীদের অতিরিক্ত ফিস ও প্রশ্ন ফিবিদ্যালয়ের বৃক্ষ কেটে আত্মসাৎ সর্বোপরিস আদায় করা,বিদ্যালয়ের জমি বেদখলের সহায়তা করা, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ , বিদ্যালয়ের বৃক্ষ কেটে আত্মসাৎ সর্বোপরি অনিয়মিত ভাবে বিদ্যালয়ে আসা- যাওয়া ,এমন অভিযোগও রয়েছে প্রধান শিক্ষিকা কামরুননাহার এর বিরুদ্ধে।
এ সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি ,শিক্ষক প্রতিনিধি, ভূমিদাতা , সদস্য ও ইউপি সদস্যসহ ৯৩জন অভিভাবকদের স্বাক্ষরকৃত অভিযোগ পত্র জেলা প্রশাসক মহোদয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জমা দেয়। তদন্তের বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার আফতাবুজ্জামান এর কাছে বারবার ফোন দিলে ফোনটা বন্ধ পাওয়া গেল সহকারী শিক্ষা অফিসার সজলের সাথে কথা বলে জানা যায় তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি তৈরি করে দেয়া হয়েছে ১ তারিখের পরে তদন্ত করে সত্য হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।