পুলিশ পায়নি, র্যাব পেল বিপুল মাদক
দুই দিন আগে রাজধানীর তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডের ফু-ওয়াং ক্লাবে অভিযান চালিয়ে পুলিশ জানিয়েছিল কিছুই পাওয়া যায়নি। তবে বুধবার দিবাগত রাতে র্যাব সেখানে অভিযান চালিয়ে জব্দ করেছে ২ হাজার ২০০ বোতল অবৈধ মদ, ১০ হাজার ক্যান বিয়ার ও নগদ ৭ লাখ টাকা। এছাড়া বিপুল পরিমাণ আমদানিনিষিদ্ধ সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ক্লাবের তিন কর্মচারীকে। বারটি সিলগালা করে মালিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, ফু-ওয়াং ক্লাব থেকে ২ হাজারের বেশি বিদেশি মদের বোতল ও ১০ হাজার ক্যান হান্টার বিয়ার এবং নগদ ৭ লক্ষাধিক টাকা জব্দ করা হয়েছে। ক্লাবের তিন কর্মচারী জাহিদ, জেবিয়ার জেরি ডিকস্টা ও চঞ্চলকে আটক করা হয়েছে। বারটি সিলগালা করা হয়েছে। আটক তিন জনসহ ক্লাবটির মালিকের বিরুদ্ধে মাদক আইন ও বিশেষ আইনে মামলা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এখানকার মাদকদ্রব্য বাইরেও বিক্রি করা হতো এবং এই ক্লাবের সদস্য নন তারাও এখানে এসে মাদক সেবন করতেন। অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান ও নিজাম উদ্দীন। বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় অভিযান শুরু করেন র্যাব-১ এর সদস্যরা। অভিযান চলে ১১ ঘণ্টা ধরে।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার ক্লাবটিতে অভিযান চালিয়ে শূন্য হাতে ফিরে আসে পুলিশ। সেখানে ক্যাসিনো কিংবা কোনো অনিয়ম পায়নি। ঐ দিন বিকাল ৫টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ক্লাবটিতে অভিযান শুরু হয়। অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছিলেন, ক্লাবে ক্যাসিনো কিংবা জুয়ার মতো কোনো আলামত পায়নি পুলিশ। যদিও ক্লাবটিতে দীর্ঘদিন ধরে জুয়াখেলার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশের অভিযানের পর ক্লাবটির ম্যানেজার শামীম বিল্লাহ দাবি করেছিলেন, আমি গত তিন বছর এখানে ম্যানেজার হিসেবে আছি। এখানে মদের বার রয়েছে। সেটির লাইসেন্সও আমাদের কাছে আছে। এছাড়া এখানে জিমনেশিয়াম রয়েছে। তবে এখানে কোনো জুয়াখেলা হয় না।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনো ও মদের বারগুলোতে অভিযান শুরু হলে ফু-ওয়াং ক্লাব কর্তৃপক্ষ বারটি বন্ধ করে দেয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, ক্লাবটি সংস্কার করা হবে।