ঘুমের ঘোরে বোবায় ধরে
ফারহানা তাসনিম এর বয়স ত্রিশের কোঠায়। প্রায় রাতেই তিনি গভীর ঘুম থেকে জেগে ওঠেন এবং তার মনে হয় শরীরের ওপর যেন ভারী কেউ চাপ দিয়ে আছে। সেটা এতটাই ভারী যে তিনি নিশ্বাস নিতে পারেন না। এমনকি পাশে কেউ শুয়ে থাকলে তাকেও ডাকতে পারেন না। তিনি বলেন, ডাকা তো দূরের কথা, অনেক চেষ্টা করলে গোঙানির মতো শব্দ করা সম্ভব হয়। ভয়ে বুক ধড়ফড় করতে থাকে। মনে হয় এই বোধহয় দম আটকে মারা যাব। পাশে কেউ শুয়ে থাকলে তারাও গোঙানি শুনে ভয় পেয়ে যায়।
স্লিপ প্যারালাইসিস হওয়ার পেছনে কিছু কারণকে চিহ্নিত করেছে তারা। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব বা ছেড়ে ছেড়ে ঘুম হওয়া, অসময়ে ঘুমানো, মাদকাসক্ত হলে, পরিবারে কারো এই সমস্যা থাকলে ইত্যাদি কারণে এটি হতে পারে।
এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা সাধারণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। রাতে অন্তত ছয় ঘণ্টা থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করা এবং সেই ঘুম যেন গভীর হয়। প্রতিদিন রাতে একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং সকালে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠার অভ্যাস করা। ঘুমের জন্য শোবার ঘরটিতে আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করতে হবে, যেন সেই ঘরে কোলাহল না থাকে। ঘরটি যেন অন্ধকার থাকে ও তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রায় থাকে। ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে ভারী খাবার এবং চা-কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। স্লিপ প্যারালাইসিস হলে নিজের মনকে প্রবোধ দিতে হবে যে ভয়ের কিছু নেই। এর পরেও মনে করলে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন।