মোবাইল চুরির অপবাদে গাছে বেঁধে কিশোরকে পেটাল দুই ভাই
শেরপুরে মোবাইল চুরির অপবাদে এক দরিদ্র কিশোরকে নারকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়েছে দুই ভাই। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত রোববার শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম রাজনগর বন্ধুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোর গত তিনদিন ধরে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
অভিযুক্ত ওই দুই ভাইয়ের নাম ইসহাক মিয়া (৩০) ও রবিউল মিয়া (২০)। তাদের বাবার নাম আব্দুস সালাম।
সোমবার ওই দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে সাতদিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার নালিতাবাড়ীর পশ্চিম রাজনগর বন্ধুপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। এতে একই গ্রামের নানাবাড়িতে থাকা ওই কিশোরকে সন্দেহ করা হয়। এদিনই তাকে গ্রামের একটি রাস্তা থেকে ধরে পরনের লুঙ্গি খুলে কাঁধে ঝুলিয়ে টেনেহিঁচড়ে আলী হোসেনের ভাই আব্দুস সালামের বাড়িতে নিয়ে যায় ইসহাক ও রবিউলসহ অন্যরা।
পরে ওই কিশোরকে বাড়ির নারকেল গাছে পেছনে হাতমোড়া দিয়ে রশিতে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে ওই কিশোর অসুস্থ হয়ে যায়।
পরে নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। তৎক্ষণাৎ পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এদিকে কিশোরকে মোবাইল চুরির অপবাদে শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পেয়ে এসপি কাজী আশরাফুল আজীম সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কিশোরকে দেখতে যান।
এ ঘটনায় ওই কিশোরের নানা বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় আলী হোসেন, ইসহাক মিয়া ও রবিউলর মিয়ার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন।
এ প্রসঙ্গে নালিতাবাড়ী থানার ওসি বশির আহমেদ বাদল জানান, গাছে বেঁধে ওই কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ভিডিও ক্লিপ দেখে অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।