আশাশুনিতে পূর্ববর্তী বিয়ের তথ্য গোপন করে কন্যাকে আবারও অন্যত্র বিয়ে দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

অধিক লাভ ও লোভের বশবতী হয়ে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পূর্ববর্তী বিয়ের তথ্য গোপন করে নিজ কন্যাকে আবারও অন্যত্র বিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, তালা উপজেলার মেশারডাঙ্গা গ্রামের নিমাই পদ সরকারের ছেলে ভুক্তভোগী উজ্জ্বল কান্তি সরকার।

তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আশাশুনি উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের তিলোক মন্ডলের কন্যা নিলীমা রানী মন্ডলকে আমার পরিবার পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য দেখা দেখি হয়। মেয়ে দেখার এক পর্যায়ে প্রাথমিকভাবে পছন্দ হয়। পরে আশির্বাদ ও সামাজিকভাবে বিয়ের কথাবার্তা হয়। কিন্তু আমার ঠাকুরদাদা মারা যাওয়ার কারণে উক্ত বিয়ের দিন পিছানোর জন্য আমার অভিভাবকগণ কনের পরিবারের কাছে প্রস্তাব দেন। কিন্তু কনের পরিবার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে আশীর্বাদ অনুষ্ঠানেই কনের মামা তপন কুমার মন্ডল কর্তৃক অত্যন্ত চাতুর্যতা, ধূর্ততা ও কূটকৌশলের মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠানেই (১৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে) নিলীমার সাথে আমার রেজিস্ট্রি বিয়ে দেয়। রেজিস্ট্রি বিয়ের পর আমার পরিবারের লোকজন কনের পিত্রালয় হতে সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসি। এরপর ১৯ এপ্রিল খুলনা রেলওয়েতে গার্ড পদে কর্মরত তাপস কুমার দে নামে একজন ব্যক্তি আমার গ্রামের বাড়িতে এসে দাবী করেন নীলিমা তার স্ত্রী, তার সাথে মন্দিরে তার বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। এমনকি তাদের বহুদিনের দাম্পত্য সম্পর্ক রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে আমরা এ ঘটনার সত্যতা যাচাই বাচাই করার জন্য আমিসহ আমার এক সহকর্মী ও ভগ্নীপতি ব্রজেন্দ্রনাথ গাইন খুলনায় গিয়ে রেলওয়ে স্টেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে কথা বলে তাপসের সাথে নীলিমার বহুদিন ব্যাপী সম্পর্কের সত্যতা পাই এবং তাদের ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশার কিছু ছবিও পাই। যেটা আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। এছাড়া তারা যে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতে সেখানে যেয়েও আমরা এর সত্যতা পাই। পরবর্তীতে আমি খুলনা সোনাডাঙ্গা থানায় উক্ত বিষয় নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করি।

তিনি আরো বলেন, কনের এরূপ পূর্ববর্তী বিয়ের বিষয় জানা সত্ত্বেও সকল তথ্য গোপন করে তার পিতা, মামা তপন মন্ডল, মাসি সন্ধ্যা রানীসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজন ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে অতি কৌশলে অধিক লাভ ও লোভের বশবতী হয়ে কুমারী পরিচয় ধারণ করে ব্রাহ্মণ এবং নাপিতের অনুপস্থিতিতে উক্ত আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে তড়িঘড়ি করে বিবাহ রেজিস্ট্রি দ্বারা বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। যা অত্যন্ত চক্রান্তমূলক জঘন্য অপরাধ এবং নীতিবর্হিভুত বেআইনি, তথা চরম প্রতারণামূলক কাজ বলে আমরা মনে করি। বর্তমানে তারা বিষয়টি মীমাংসার জন্য ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা দাবী করছেন এবং আমার ও আমার অভিভাবকদের নামে মিথ্যা মামলা দায়েরের হুমকি দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমরা খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি। এমতাবস্থায় তিনি (উজ্জ্বল) তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)