তালার তেতুঁলিয়ার শাহী জামে মসজিদটি ধ্বংসের পথে,সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর,বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইে পড়ছে পানি
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেতুঁলিয়ার খুলনা-পাইকগাছা কবি সিকান্দার আবু জাফর সড়কের পাশে অবস্থিত তেতুঁলিয়া শাহজামে মসজিদটি সংস্কারের অভাবে ধ্বংস হবার পথে ।জানাজায়,মুঘল আমলে প্রায় ১৮শত সালের দিকে তৎকালীন সময়ে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে আসা জমিদার খান বাহুদুর সালামতউল্লাহ মসজিদটি নির্মাণ করেন ।
মসজিদটির ৭ টি দরজা । প্রতিটি দরজার উচ্চতা ৯ ফুট এবং প্রস্থ ৪ ফুট। ১০ বর্গফুট বেড় বিশিষ্ট ১২ টি পিলারের উপর মসজিদের ছাদ নির্মিত। চুনসুরকি ও চিটাগুড়ের গাঁথুনিতে নির্মিত মসজিদটিতে ১৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট ৬ টি বড় গম্বুজ ৮ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট ১৪টি মিনার রয়েছে। ২৫ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট চার কোনে ৪টি মিনার। মসজিদের ভিতরে ৫টি সারিতে ৩২৫জন ও মসজিদের বাইরের চত্বরে ১৭৫ জন নামাজী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে।কিন্তু প্রায় ১০বছর মসজিদটি কোন প্রকার সংস্কার না করায় এখন একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইে পানি পড়ছে ।
ধ্বংসের পথে যেতে বসেছে প্রায় দেড় থেকে দুইশত বছর পুরানো মসজিদটি । এলাকাবাসীর দাবি মুঘল আমলে তৈরি মসজিদটি তালা উপজেলার একটি অন্যতম নিদর্শন কিন্তু যদি অতিদ্রুত সংস্কার করা না হয় তাহলে হয়তোবা মসজিদটা ধ্বংস স্তূপে পরিণত হবে । মসজিদটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মারুফ হোসেন (তুরান) বলেন, ‘ঐতিহ্য নষ্ট হবে মনে করে মসজিদের উন্নয়ন কাজ বন্ধ। একজন তত্ত্বাবধায়ক দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হচ্ছে না। মসজিদের খরচ বহন করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।এখন ছাদ চুইে পানি পড়ছে ।
খুলনা বিভাগীয় প্রত্ততত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা বলেন, ‘আমরা সম্প্রতি মসজিদটি পরিদর্শন করেছি। ইতিপূর্বে মসজিদের সংস্কার করা হয়েছে।ছাদ চুইে পানি পড়ছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন,অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।