পাওনা টাকা পরিশোধ না করে উল্টো ভোমরার ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতিকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
পাওনা টাকা পরিশোধ না করে উল্টো ভোমরার ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতিকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার ভোমরা গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে ফিরোজ হোসেন ।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অত্যান্ত সুনামের সাথে ভোমরা স্থল বন্দরে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম। সম্প্রতি ভোমরাস্থল বন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি হিসেবে আমাকে মনোনীত করা হয়েছে। এতে একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, ঘোনা ইউনিয়নের বিমল কৃষ্ণের পুত্র দিপংকর মন্ডল (দিপু) ট্রান্সপোর্ট করার জন্য আমার কাছ থেকে জামানত স্বরূপ ১৫ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। তার পরিবর্তে দুটি ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার দুটি চেক আমাকে প্রদান করেন।
পরে তার ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য আবারো ৯ লক্ষ টাকা এক সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধের শর্তে আমার কাছ থেকে গ্রহণ করেন। কিন্তু সে তার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আমার টাকা পরিশোধ না করায় আমি তার কাছে টাকার জন্য তাগিদ দিলে সে তালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে আমার টাকা না দেওয়ার পায়তারা শুরু করেন এবং স্থানীয় ওই কুচক্রী মহলের ইন্ধনে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেন এবং তা ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দিয়ে আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর তার কাছ থেকে ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার দুটি চেক আমি কেড়ে নিয়েছি মর্মে তিনি যা উল্লেখ করেছেন তা ঠিক নয়। তিনি এ সময় তার কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, যদি ১১ তারিখে তার কাছ থেকে আমি জোরপূর্বক চেক কেড়ে নিয়ে থাকি তাহলে পরদিন ১২ তারিখে তিনি কেন আবার আমার সাথে লেনদেন করলেন ? এছাড়া দিপু দাবি করেছেন গত ১২ সেপ্টেম্বর মেসার্স সৃষ্টি ট্রেডার্স নামে ৪৭২ নং এল সি’র মাধ্যমে ভারত থেকে তিনি পেঁয়াজ আমদানী করেন, যার বিল অব এন্ট্রি নং-১৬১৬৬।
অথচ পরে আমরা সরেজমিনে কাস্টমস থেকে ১৬১৬৬ বিল অব এন্ট্রির পেপার সংগ্রহ করে দেখি সেখানে আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের নাম জাহিদ ট্রেডার্স, যার এলসি নং-৫৫৯। যার তারিখ ১৫সেপ্টেম্বর। তাই দিপুর উপস্থাপিত তথ্যের সাথে কাস্টসের তথ্যের কোন মিল নেই, কোন অস্তিতও¡ নেই।
প্রকৃতপক্ষে ওই তারিখে দিপুর সাথে আমার কোন ধরনের লেনদেন হয়নি। সে আমার পাওনা টাকা পরিশোধ না করার জন্য এবং স্থানীয় কুচক্রী মহলের ইন্ধনে আমার ব্যবসায়ীক সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে এধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও জাল এল সি নং দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এমতাবস্থায় তিনি (ফিরোজ) উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং তার পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।