রাতে সাত ঘণ্টার কম ঘুমান;নিজেই ডেকে আনছেন নানান রোগ
বর্তমান সময়ে আমরা সবাই ব্যস্ত ইঁদুর দৌড়ে। একদণ্ড ফুরসৎ-এর জো নেই কারও। সকালে ঘুম থেকে উঠেই নাকেমুখে গুঁজে অফিসে ছোটা। দশটা-পাঁচটা অফিস করে বিকেলে ট্রামে-বাসে বাঁদুড় ঝোলা হয়ে বাড়ি ফেরা। তারপর ছেলে বা মেয়েকে সময় দেওয়া, বাড়ির আর দশটা কাজ, একটু টিভি দেখা।
এই সব করতে করতে এখনকার দিনে কেউ রাত বারোটা-সাড়ে বারোটার আগে বিছানায় যাচ্ছেন না। আবার পরদিন সকালে ওঠা। আর জেন এক্স কিংবা ওয়াইয়ের ছেলে-মেয়েদের গভীর রাত পর্যন্ত বিছানায় শুয়ে ফেসবুক, ইমো, ট্যুইটার, স্ন্যাপ চ্যাট-তো আছেই। এই বাঁধনছাড়া রুটিনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাতের ঘুম। চিকিৎসকদের মতে, নিদেনপক্ষে সাত ঘণ্টা ঘুম না হলে, শরীর ঠিকভাবে চলতে পারে না। আর এই অভ্যাস যদি বেশ কিছুদিন ধরে চলে তা হলে তো আর কোনও কথাই নেই।
১) ঠিক মতো ঘুম না হলে আচমকাই বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ। যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপজনিত কোনও অসুখ না থাকে, তা হলেও তা আচমকাই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। আর যদি এই সমস্যা আপনার আগে থেকেই থেকে থাকে, তা হলে আরও বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপের মাত্রা।
২) ঘুম ঠিকমতো না হলে বেড়ে যেতে পারে ওজনও। ঘুম না হলে খিদে বাড়ানোর হরমোনের মাত্রা শরীরে বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণের ফলে ওজন বাড়তে থাকে।
৩) ঘুমের সময় কমে এলে তার চিহ্ন ফুটে ওঠে ত্বকে। মুখে ব্রণ দেখা দেয়। কারণ ঘুম না হলে হরমোনের সমস্যা হয়, যার প্রভাব পড়ে ত্বকের উপর।
৪) ঘুম কমে এলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে ঠান্ডা লাগা ও সর্দিজ্বরে কাবু হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।
৫) একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কম ঘুমের ফলে পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে প্রায় ২৫ শতাংশ স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে। ফলে সন্তান উৎপাদনে সমস্যা দেখা দিতেই পারে।