আমি অধিনায়কত্ব করতে চাই না : সাকিব
সাকিব বর্তমানে বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে আছেন। এই দায়িত্বটা যেন তার ওপর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাকিব মনে করছেন, নেতৃত্ব ছেড়ে দিলে তার ক্যারিয়ারের জন্যই সেটা ভালো হবে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ খেলোয়াড় যেখানে চাপ দেয়ার পরও নেতৃত্ব ছাড়তে চান না, সেখানে সাকিব একটু যেন ব্যতিক্রমই!
চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের ২২৪ রানের লজ্জাজনক পরাজয়ের পর সাকিব আল হাসান বললেন, ‘আমি অধিনায়কত্ব করতে চাই না।’
এ নিয়ে গত দশদিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো নেতৃত্ব ছাড়ার ইচ্ছে পোষণ করলেন দেশ ও বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। তবে নিজের একক সিদ্ধান্তে নয়, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে চান সাকিব।
নেতৃত্ব নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয়, যদি আমি অধিনায়ক না থাকি তবে সেটাই ভালো হবে। আমার দিক থেকে দেখলে, এটা আমার ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে। আর যদি আমাকে নেতৃত্ব দিতেই হয়, তবে অনেক কিছু নিয়েই আলোচনা করার আছে।
সাকিব চাইছেন, এখন থেকেই যেন তরুণ কাউকে নেতা হিসেবে গড়ে তোলা হয়। কিন্তু সাকিবের এই চাওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ দলের বর্তমান পরিস্থিতির মিল নেই।
তরুণদের মধ্যে যাদের নিয়ে ভাবা হয়; সেই মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, সৌম্য সরকার এবং লিটন দাসকে বিসিবি এখনও অধিনায়ক করার মতো প্রস্তুত মনে করছে না।
এদিকে সিনিয়রদের মধ্যে মাশরাফি বিন মর্তুজা ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে আছেন। সাকিবের অনুপস্থিতিতে গত বছর টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে কয়েকটি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তামিম ইকবাল গত শ্রীলঙ্কার সিরিজে অধিনায়ক ছিলেন। তারা কেউই তেমন ভালো করতে পারেননি।
সিনিয়রদের মধ্যে মাশরাফি-সাকিব ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা আছে কেবল মুশফিকুর রহীমের। সাফল্যও আছে। তবে বেশ কয়েকটি কারণে তাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল, আবারও নতুন করে তার কথা ভাবলে সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করে তবেই ভাবতে হবে। তাই আপাতত বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো সাকিবের চেয়ে সুযোগ্য কাউকে দেখছে না বিসিবি।