দিবা নৈশ কলেজ মোড়ের খোকনের হোটেলে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে খাবার

শহরের বড় বাজার ঢুকতে রাস্তার পাশে খোকনের হোটেলে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা হচ্ছে। বিক্রি করা হচ্ছে রাস্তার সাথে ধুলা বালি কাঁদা ও নোংরা পঁচা ডাস্টবিন এর কাছেই ট্রে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ খোলা অবস্থায়। এ যেন ঢাকার ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ধনির দুলালদের ফেলে দেয়া খাবার।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নোংরা পরিবেশে রয়েছে সব খাবার। আশেপাশে বিভিন্ন সড়কের ধুলাবালি, মাছি, মশা, খাবার দূষিত, রান্নাঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পচা-বাসি নিম্নমানের মসলা ব্যবহার হচ্ছে। হোটেল রেস্তোরার পেছনে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেই। কঠিন দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে রান্নাঘরে এসব খাবার রান্না ও পরিবেশনের ব্যবস্থা করলেও দেখার কেউ নেই, সাথে আছে তেলাপোকা, ইন্দুর ও বিড়ালের হুড়োহুড়ি। সময়ের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সাতক্ষীরায় দিন দিন বাড়ছে হোটেলের রমরমা ব্যবসা-বাণিজ্য। খোকনের হোটেল থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ক্ষুধার তাড়নায় হাতের নাগালে হোটেল পেয়ে ক্ষুধা নিবারণের জন্য নাস্তা বা ভাত খেয়ে থাকেন।

এদিকে পাশেই পি এন স্কুল, দিবা-নৈশ কলেজ, ল’ কলেজসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও সেখান থেকে নাস্তা বা ভাত খেয়ে থাকেন । এ হোটেলে নোংরার কারখানা পরিণত হয়েছে, বাজারে ঢুকতে হলেও দূর্ভোগে পড়তে হয় মানুষের। এমন পরিবেশে খাওয়া দাওয়া করে অনেকে অসুস্থতায় ভুগেন বলেও জানা যায়। চলার পথে পথচারীরা ও পার্শ্ববর্তী খুচরা ব্যবসায়ীদের সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে রাতের খাবারে তাদের নির্ভর করতে হয় এ হোটেলের উপর। কিন্তুতোয়াক্কা করছেন না অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পরিবেশের। ভুক্তভোগীরা উপায়ান্তর না থাকায় মুখ বুজে করছেন আহার। খোকনের হোটেলে খাবার তৈরি হচ্ছে পুরাতন তেল ব্যাবহার করে ও খোলামেলা স্থানে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। বিশেষ করে রুটি, পরোটা, সমুচা, সিঙ্গারা, পিয়াজু, বেগুনী ভাজা হচ্ছে একাধিকার ব্যবহার্য্য তেল দ্বারা। হোটেলের তেল দেখলে মনে হয় যেন আলকাতরা। ভাত, মাছ ও মাংস সহ হরেক রকমের খাবারের আরো খারাপ অবস্থা। এ হোটেলে অল্প বেতনে কম বয়সী শিশুদের দিয়েও শিশু শ্রমে বাধ্য করানো হচ্ছে বলে প্রত্যক্ষ দেখা যায়। দুপুরের মাছ চলে রাত্রিবেলাতেও। কখনো বা পরেন দিন পর্যন্ত বিক্রি চলে! অভিযোগ রয়েছে হোটেল মালিক সমিতির নিজেদের হোটেল গুলোরই বেহাল দশা। সেখানে নেই পরিচ্ছন্নতার বালাই আর পচা-বাসীর খাবারের হিড়িক থাকলে যেন দেখার কেউ নেই! এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)