আশাশুনিতে মসজিদের জমি জবর দখলের চেষ্টা
আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় মসজিদের জমিতে জোর পূর্বক ধান রোপন করে জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউপি চেয়ারম্যানের উপর বিচারের দায়িত্ব থাকলেও বিচারের আগেই জবর দখলের চেষ্টায় মুসল্লিদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
দাঁদপুর গ্রামের মৃত রাজাউল্লাহ বিশাসের পুত্র আহছানুর জানান, একই গ্রামের মৃত কাশেম বিশ্বাসের নিকট থেকে নাজমা ও তার স্বামী দাদপুর মৌজায় ৬৭ শতক জমি ক্রয় করেন ১৯৯৯ সালে। তারা ভোগদখলে থাকা অবস্থায় উত্তর দাদপুরের তারকের কাছে ১৬ শতক, ফনিন্দ্র’র কাছে ১৬ শতক ও রুদ্রপুরের মৃত মোকছেদ সরদারের পুত্র সেলিমের কাছে ১৯ শতক জমি ২০০৩ সালে বিক্রয় করেন। সেলিম পরবর্তীতে আহছানুরের কাছে ২০০৩ সালে ১৯ শতক জমি বিক্রয় করেন, তবে রেজিষ্ট্রী করে দেননি। রেজিস্ট্রী না করলেও সেই থেকে আহছানুর জমি ভোগ দখল করে আসছেন। ২০১৭ সালে আহছানুর জমি রেজিস্ট্রী করে নেয়।
সেখান থেকে ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় গত ১ সেপ্টেম্বর আহছানুর উক্ত জমি দাদপুর বাড়ি জামে মসজিদের নামে রেজিস্ট্রী করে দিয়ে দান করেন। একই গ্রামের মৃত মহাতাব উদ্দিনের পুত্র শওকত হোসেন (ময়না) ২০১৪ সালে একই মৌজায় ৯টি খতিয়ান থেকে ১৫৩টি দাগের মধ্যে ৫০ শতক জমি ক্রয় করেছেন বলে দাবী করেন। তার ক্রয়কৃত জমি কোথায় আছে তা মাপ জরিপ না করে মসজিদের নামে দানকৃত জমির মধ্যে তার জমি আছে দাবী করে গোলযোগ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করলে থানা থেকে কুল্যা ইউপির নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরীকে ফায়সালার দায়িত্ব অর্পন করা হয়।
চেয়ারম্যান বিচার ফায়সালা করার আগেই ৫ সেপ্টেম্বর শওকত বহিরাগতদের নিয়ে মসজিদের জমিতে জোরপূর্বক ধান রোপন করে জবর দখলের চেষ্টা চালান। জানতে পেরে পরবর্তীতে প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক রোপনকৃত ধান উপড়ে দিয়েছেন। বিষয়টিকে পুজি করে একটি পক্ষ আহছানুরের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ও কুৎসা রটিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এহেন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মসজিদের জমি অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন ও ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গ্রাম আদালতকে অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবি জানান হয়েছে।