ব্লাড ক্যানসার কেড়ে নিতে চায় হাবিবার প্রাণ
১১ বছরের ছোট্ট হাবিবা। কিছুদিন আগেও অন্য সবার মতো সেও স্কুলে যেতো হাসিমুখে। কিন্তু ভয়ঙ্কর ব্লাড ক্যান্সার ম্লান করে দিয়েছে তার হাসিমুখ। এখন তার সময় কাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ২০৯ নং কক্ষের ২৮নং বেডে। প্রাণোচ্ছল হাবিবার মুখখানা জ্বর আর রক্ত শূণ্যতায় এখন বিমর্ষ।
হাবিবার বাড়ি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের সেকেন্দ্রনগর গ্রামে। সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। গত ২২ আগস্ট হাবিবার ক্যান্সার ধরা পড়ে। এর কিছু দিন আগে হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হয় সে। প্রথমে তার চিকিৎসা করেন স্থানীয় গ্রম্য ডাক্তার। কিন্তু ৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও যখন হাবিবার জ্বর কমছিলোনা তখন ওই গ্রাম্য ডাক্তার হাবিবাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী হাবিবাকে কালিগঞ্জের নারায়ণপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার রক্ত পরীক্ষা করে জানানো হয় সে রক্ত শূণ্যতায় ভুগছে। যতদ্রুত সম্ভব তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। পরদিন হাবিবাকে ভর্তি করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে সেখানে তার আরো পরীক্ষা করা হয়। এরপর ধরা পড়ে ব্লাড ক্যান্সার।
হাবিবার বাবা দিনমজুর হান্নান আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ও হেমোলজি বিভাগের প্রধান ডা. আমির খসরুর বরাত দিয়ে বলেন, ডাক্তার বলেছে হাবিবার ক্যান্সার এখন প্রাথমিক পর্যায়ে। সময়মতো চিকিৎসা করাতে পারলে সে সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে উঠবে। তিন বছর ধরে চলবে হাবিবার চিকিৎসা প্রক্রিয়া। সেখানে খরচ হবে ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা।
হাবিবার দাদা মো. সোহরব আলী গাজী বলেন, আমরা নিন্মবিত্ত পরিবারের মানুষ। দিনমুজুরী করে আমাদের সংসার চলে। এখন পর্যন্ত হাবিবার চিকিৎসায় ৩ লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছি। আমাদের পক্ষে আর টাকা জোগাড় করা সম্ভব না।
হাবিবার পরিবারের সদস্যরা তার চিকিৎসার খরচ চালানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য কামনা করেছেন। হাবিবার চিকিৎসায় সহয়তা করতে যোগাযোগ করা যাবে তার দাদার ০১৭১৫৬-১৪৩৬১৪ নাম্বারে। সহায়তা পাঠাতে পারেন ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কালিগঞ্জ শাখার ০২২৪১২২০০০০৭৬৮১ হিসাব নম্বরে। হাবিবার পিতা হান্নান আলী গাজীর হিসাব নম্বরে।