আবদুল আলীমের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলা লোকসংগীতের অমর কণ্ঠশিল্পী আবদুল আলীমের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এই উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আবদুল আলীম ফাউন্ডেশন সকালে ঢাকা বনানীস্থ শিল্পীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।

বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন ছাড়াও বিভিন্ন টিভি চ্যানেল শিল্পীর ওপর বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। চ্যানেল আই সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ‘গানে গানে সকাল শুরু’ অনুষ্ঠান এবং রাত ৮টায় মাইটিভিতে একটি সংগীতানুষ্ঠান প্রচার হবে।

অমর কণ্ঠশিল্পী আবদুল আলীম ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার তালিবপুর গ্রামের সুন্দরপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোহাম্মদ ইফসুফ শেখ এবং মাতার নামা খাসা বিবি। আবদুল আলীমের সংগীত জীবন শুরু হয় ছোটবেলা থেকেই। তিনি মুর্শিদাবাদে ওস্তাদ গোলাম আলীর (ওলুমিয়া) শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে কোলকাতায় শেরে বাংলা এ কে ফজলুর হক ও কাজী নজরুল ইসলামের সান্নিধ্যলাভ করেন।

শিল্পীর সম্পর্কিত এক চাচা একবার তালিবপুর গ্রামে একটি কলের গান নিয়ে আসেন। সেই বাড়িতে আবদুল আলীম সারাক্ষণ গান শুনে সংগীতের প্রতি আকষ্ট হন। ১৯৪৩ সালে তার দুটি গান রেকর্ড হয়। ১৯৪৮ সালে তিনি বাংলাদেশে আসনে। ১৯৫৬ সালে প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ এ কণ্ঠ দেন। এ পর্যন্ত তার ৫০০টি গান রেকর্ড হয়েছে এবং ১০০টি চলচ্চিত্রে তিনি গান গেয়েছেন।

তার উল্লেখযোগ্য ছায়াছবির মধ্যে- সাতভাই চম্পা, রূপবান, এতটুকু আশা, শীত বিকেল, জোয়ার এলো, সুজন সখী ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে-হলুদিয়া পাখি, রূপালী নদীরে, নাইয়ারে নায়ে বাদাম, সবসখীরে পার করিতে ইত্যাদি।

১৯৬২ সালে র্বামা, ১৯৬৪ সালে রাশিয়া এবং ১৯৬৬ সালে চীন সফর করেন। মাত্র ৪৩ বছর বয়সে ১৯৭৪ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর তিনি ইন্তোকাল করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে একুশে পদক এবং ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)