তালার খলিলনগরে পাঁচ গ্রামে জলাবদ্ধতা,ফসল নষ্ট শালতা নদীর মাঝে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ
শালতা নদীর মধ্যখানে বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ করছে একটি মহল। একই সাথে নদীর দুই প্রান্তে চলছে খনন কাজ। কিন্তু সোনামুখী গেট দিয়ে পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। এর ফলে তালার খলিলনগর ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন হাজরাকাটি গ্রামের বাসিন্দা ওয়াদুদ সানা, মোসলেমউদ্দিন শেখ,রবিউল ইসলাম, জিয়াউর রহমান ও রেজাউল শেখ। তারা বলেন আমাদের পাঁচটি গ্রাম হাজরাকাটি,মহান্দি,নুরুল্লাহপুর,বারইহাটি ও নলতা। এসব গ্রামে ছয় হাজার মানুষের বাস। তাদের ফসলী জমি রয়েছে দুই হাজার বিঘারও বেশি। এসব জমির ফসল মার যেতে বসেছে জলাবদ্ধতার কারণে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন সোনামুখী গেট দিয়ে পানি শালতা নদীতে নিষ্কাশিত হয়ে থাকে। কিন্তু এই গেটের মুখ যেমন উঁচু হয়ে গেছে তেমনি নদীর মাঝখানে বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ করছে স্থানীয় পরিমল মন্ডল ও বিধান জোয়ার্দার। তারা বাঁধ দিয়ে সোনামুখী গেটটি আরও অকেজো করে ফেলেছে। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশিত হতে না পারায় তা আটকে রয়েছে ফসলী মাঠে ঘাটে। এই পানি এখন বাড়ি ঘরে উঠেছে। ফলে তলিয়ে রয়েছে ঘরবাড়ি গাছপালা উঠোন। চারদিকে পানি আটকে থাকায় ডেঙ্গু ও সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন আমরা এই সমস্যা সমাধানে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এ বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা বিভাগীয় প্রকৌশলী পলাশ আহমেদ বাঁধ কেটে পানি সরানোর ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশfস্থ করলেও এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি। তারা বলেন বিলম্ব হওয়ায় আমাদের ফসল বিনষ্ট হচ্ছে। আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও বাধার মুখে পড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় শালতা নদী খনন করা হলে আমরা জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি পাবো। কিন্তু প্রভাবশালী পরিমল মন্ডল ও বিধান জোয়ার্দার এতে বাধা সৃষ্টির জন্য নদীর মাঝ বরাবর বাঁধ দিয়ে অন্যায়ভাবে মাছ চাষ করছে।
অবিলম্বে এই অবৈধ বাঁধ সরিয়ে দেওয়া হোক। একই সাথে শালতা নদী খননও অব্যাহত থাকুক। আমরা এই দাবি রাখছি প্রশাসনের কাছে। অবিলম্বে এই দাবি না মানা হলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষিজীবীরা বাধ্য হবেন নিজেরাই বাঁধ কেটে দিতে। সেক্ষেত্রে অনাকাংখিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে জরুরি ভিত্তিতে পানি অপসারনের লক্ষ্যে সোনামুখী গেট উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।