ডেঙ্গু :১৯ বছরের চেয়ে বেশি আক্রান্ত আগস্টে
চলতি বছরের অগাস্ট মাসে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা গত ১৯ বছরে নথিভুক্ত সব ডেঙ্গু রোগীর মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম জানিয়েছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত মোট ৬৯ হাজার ৪৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে অগাস্টের ৩০ দিনে ভর্তি হয়েছে ৫০ হাজার ৯৭৪ জন। আর ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ৫০ হাজার ১৪৮ জন ডেঙ্গুর চিকিৎসা নেওয়ার তথ্য নথিভুক্ত হয়েছে সরকারি হিসাবে।
সরকারি হিসাবে চলতি বছরের এপ্রিলে ৫৮ জন, মে মাসে ১৯৩ জন, জুনে ১৮৮৪ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। জুলাই মাসে তা এক লাফে ১৬ হাজার ২৫৩ জনে পৌঁছায়। আর অগাস্টে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে জুলাইয়ের তিন গুণের বেশি। গত এক মাসের মধ্যে ৭ অগাস্ট সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪২৮ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে। ২১ অগাস্টের পর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ৮৪ জন, এসএমসি ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫৩ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ২৪ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৭ জন ভর্তি হয়েছে। এছাড়া বিএসএমএমইউতে ২৪ জন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ১০ জন, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪৪ জন, পিলখানা বিজিবি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৪৩ জন, নিটোরে ৩ জন এবং কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। অন্যদিকে, ঢাকা শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নতুনভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১৩৫ জন রোগী। পাশাপাশি ঢাকা বিভাগের জেলা শহরগুলোতে ১৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৬ জন ও খুলনা বিভাগে ১৬০ জন, রংপুর বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬০ জন, বরিশাল বিভাগে ৮৭ জন, সিলেট বিভাগে ৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
ঢামেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত নারী মারা গেছেন
এদিকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মুন্নি বেগম (৫২) নামে চিকিত্সাধীন এক রোগী মারা গেছেন। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মেডিসিন ভবনের ৮০২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া এলাকায় থাকেন তিনি। গত ৯ দিন ধরে জ্বর ছিল। পাশাপাশি শরীরেও ব্যথা ছিল। স্থানীয় একটি হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করা হলেও ডেঙ্গু ধরা পড়েনি। বুধবার তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন রক্ত পরীক্ষা করা হলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে।