যশোরে ১৪৯২৫টি এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস
যশোর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার ৩৩ স্থানে ১৪ হাজার ৯২৫টি এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিক ওই সব স্থানে সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করা মশক নিধনের ওষুধ প্রয়োগ করে লার্ভাগুলো ধ্বংস করা হয়।
যশোর পৌর এলাকার ১২০টি স্পটে জরিপ চালিয়ে এডিস মশার লার্ভার খোঁজ পায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। টায়ার, ডাবের খোলা, প্লাস্টিক, মাটির পাত্র ও জমে থাকা পানিতে এসব লার্ভা পাওয়া যায়। টায়ারে জমে থাকা পানির ভেতরে সবচেয়ে বেশি লার্ভা পাওয়া গেছে।
যশোর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু বলেন, ২৭ আগস্ট সিভিল সার্জন অফিস থেকে যশোরের এন্তোমলোজিকাল (জীবতত্ত্ববিদ) সার্ভে-(এডিস মশার জরিপ রের্কড) করা হয়। এতে শহরের মনিহারের টায়ার পট্টি থেকে সবচেয়ে বেশি এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। সেখানে টায়ারে জমে থাকা পানিতে ১৩ হাজার ২৫৫টি লার্ভার সন্ধান মেলে। এছাড়া কারবালায় এক হাজার ২২০টি, পুরাতন কসবায় ১৬০টি, পূর্ব বারান্দিপাড়ায় ১০৫টি, টিবি ক্লিনিকে ৮৫টি ও বেজপাড়ায় ১০৯টি এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে।
তিনি আরো বলেন, জরিপ প্রতিবেদনে শহরের কোন এলাকার কোথায় এডিসের লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে সেটির উল্লেখ ছিল। ওই প্রতিবেদনে ঠিকানার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের মোবাইল নম্বরও দেয়া ছিল। সেই সূত্র ধরে ২৮ আগস্ট ওই সব স্থানে পৌরসভার মশক নিধক দল পাঠানো হয়। দুটি ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ প্রয়োগ করে সেখানে থাকা এডিসের লার্ভা ধ্বংস করা হয়।
যশোরের সিভিল সার্জন দীলিপ কুমার রায় জানান, যশোর শহর ছাড়াও কেশবপুর ও মণিরামপুরে এডিসের লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে টায়ারের ভেতর, ডাবের খোলা, প্লাস্টিকের পাত্র, পানির টবের পাশাপাশি জলাবদ্ধ জায়গায় এডিসের লার্ভা মেলে। তবে সবচেয়ে বেশি লার্ভার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের ফেলে রাখা টায়ারের স্তুপ ও প্লাস্টিকের কারখানায়।